হাইব্রিড আওয়ামী লীগকে পছন্দ করে না প্রবীন নেতৃবৃন্দ - মিনু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৫৭ এএম, ১৩ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৩৩ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
আজ বুধবার প্রশাসনিক ও পুলিশি সকল বাধা অতিক্রম করে রাজশাহীর দূর্গাপুর উপজেলার শিবপুর বিদ্যালয় মাঠে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে বিএনপি'র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য জননেতা মিজানুর রহমান মিনু। তিনি বলেন, এই সরকার গণতন্ত্র সমুলে ধ্বংস করে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। মেগা প্রকল্পের নামনে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে বিদেশে পাচার করেছে। শুধু তাইনয় পদ্মা সেতু নির্মানে চল্লিশ হাজার কোটি টাকা দূর্নীতি করে বিদেশে পাচার করেছে।
স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের পতনের আন্দোলনের সময় যেমন বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জনগণের সাথে বেইমানী করেছিলেন। আবার এক এগারোর সময় তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ভয়ে দেশের জনগণের কথা না ভেবে বিদেশে পালিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া সে সময়ে দেশের জনগণের কথা ভেবে তিনি দেশ ছাড়েননি। সেজন্যই শেখ হাসিনা আবারও দেশে ফিরে আসতে পেরেছেন বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, এই সরকার পার্শ্ববর্তী দেশের হাতে স্বাধীন পতাকা তুলে দিতে তাদের প্রভুত্ব করছে। প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বর্তমান হাইব্রিড আওয়ামী লীগকে পছন্দ করে না। আর যেসব আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা এই সরকারের এজেন্ডা বাস্তাবায়ন করছে তাদের চিন্তিত করে রাখার জন্য নেতাকর্মীদের অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, এই সরকারের শেষ সময় হয়ে গেছে। বেগম জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্র পুণরুদ্ধার এবং এই অগতান্ত্রিক সরকারের পতনরে আন্দোলন ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। এই আন্দোলন আগামীতে আরো তীব্র হবে। সরকার পতনের এই আন্দোলনে সবাইকে রাজপথে থাকার আহবান জানান তিনি।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি'র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেন, এই সমাবেশ বানচাল করতে পথে পথে বাধা প্রদান করেছে সরকারের পেটয়া বাহিনী। কিন্তু বাধা দিয়ে কোন লাভ হয়নি। বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা সকল বাধা উপেক্ষা করে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। দেশের বিভিন্নস্থানে নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় সাজা প্রদান করেছ। এই সরকার আবারও রাতের অন্ধকারে নির্বাচন করতে চায়। সরকারের এই হীন ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ইস্পাত ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। তিনি সরকারের এই রুপকে করোনার মত রুপ পাল্টানোর ভাইরাস বলে আক্ষ্যাদেন তিনি। তিনি আরো বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাবার মত বাকশাল কায়েম করে দেশ পরিচালনা করছে।
উন্নয়নের ধুয়া তুলে এই সরকার কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের খুন, গুম ও নির্যাতনের রাজস্ব কায়েম করেছে। দেশে এখন কোন গণতন্ত্র নাই, মিডিয়ার স্বাধীনতা নাই। বাক স্বাধীনতা না থাকায় সরকারের সমালোচনা করলেই আইসিটি মামলা দিয়ে আটক করছে। এই সরকার দেশেল সকল মনুষকে ঋনের বেড়াজালে আবদ্ধ করে ফেলেছে। প্রতিটি শিশু আটানব্বই হাজার টাকা ঋণ নিয়ে জন্ম গ্রহন করছে। বর্তমান সরকারের মসনদ যেকোন সময়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়বে। মিথ্যা দিয়ে আর ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেনা বলে তিনি উল্লেখ করেন। বর্তমান সরকার জনগনের দু:শমন সরকারে পরিণত হয়েছে। এই দু:শমন সরকারকে আর ক্ষমতায় আর রাখার যাবেনা।
তিনি আরো বলেন, এই সমাবেশ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির সমাবেশ। সম্পূর্ন হিংসাবশত হয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়াকে কারাগারে রেখেছেন। তাঁকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা নিতে দিচ্ছেনা। বেগম জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে আগামী সংসদ নির্বাচন করার আন্দোলনে সবাইকে এভাবেই রাজপথে থাকার আহবান জানান তিনি।
বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপি'র আহবায়ক আবু সাইদ চাঁদ এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সৈয়দ শাহীন শওকত ও ওবাইদুর রহমান চন্দন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি'র সাবেক সভাপতি ও রাসিক সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুণর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি'র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায়, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপি'র সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি'র আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট এরশাদ আলী এশা, জেলা বিএনপি'র সদস্য সচিব অধ্যাপক বিশ্বনাথ সরকার, মহানগর বিএনপি'র সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ মামুন ও কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ভিপি ইব্রাহিমসহ প্রমুখ।
জেলা বিএনপি'র সদস্য গোলাম মোস্তফা মামুন, আমিনুল হক মিন্টু ও রায়হানুল আলম রায়হান এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি'র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপি'র সদস্য এ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তফা, জেলা বিএনপি'র সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সদস্য এ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন তপু, সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ মহসিন, নজরুল ইসলাম, জাহান পান্না, তাজমুল তান টুটুল, শাহাদাত হোসেন, আলী হোসেন, তোফায়েল হোসেন রাজু, সিরাজুল ইসলাম, জাকিরুল ইসলাম বিকুল ও বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন উজ্জল ।
উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা প্রিন্সিপাল বিপ্লব, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, রাজশাহী মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কারাম আজাদ সুইট, সাবেক আহবায়ক ও যুববদল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুল কাদের বকুল, বর্তমান আহবায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি, জেলা যুবদলের আহবায়ক মাসুদুর রহমান স্বজন, কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা কৃষকদলের আহবায়ক আলামিন সরকার টিটো, সদস্য সচিব নাজমুল হক, যুগ্ম আহবায়ক মুহিব্বুল হক রুবেল, স্বেচ্ছাসেবকদল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী সহ-সভাপতি নুশরাত এলাহী রিজভী, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাকির হোসেন রিমন ও সাধারণ সম্পাদক আবেদুর রেজা রিপন।
এছাড়াও মহিলাদল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রোকাসানা বেগম টুকটুকি, রাজশাহী মহানগর মহিলা দলের সভাপতি এ্যাডভোকেট রওশন আরা পপি, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সকিনা খাতুন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মুসলিমা বেগম বেলী, জেলা মহিলা দলের সভাপতি এ্যাডভোকেট সামসাদ বেগম মিতালী ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদা পারভীনসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের রাজশাহী জেলার সকল থানা, উপজেলা, পৌরসভা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, আহবায়ক, সদস্য সচিব ও যুগ্ম আহবায়কবৃন্দসহ অন্যান্য নেতাকর্মী ও সাধারণ সমর্থকগণ উপস্থিত ছিলেন।