চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের ছাত্রসমাবেশে আবুল হাশেম বক্কর
বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য লড়াই চালিয়ে যাবে ছাত্রদল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০৭ এএম, ৩ জানুয়ারী,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৩৫ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও দেশে অবরুদ্ধ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বর্তমান সরকার রাতের আঁধারে ভোট চুরি করে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। তারা বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিচ্ছে না। চিকিৎসা নিয়ে সরকার মিথ্যাচার করছে। দেশে ৪০১ ধারায় আইন আছে, খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানো যেতে পারে। সারাদেশের মানুষ খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি জানিয়েছে। কিন্তু এই সরকারের কানে এটা যায় না। আওয়ামী লীগ সরকার জানে, খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে এলে তাদের এই ক্ষমতা থাকবে না। তাই তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছে। কিন্তু সুচিকিৎসার অভাবে তাঁর কোনো কিছু ঘটে গেলে, এর দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও অবরুদ্ধ গণতন্ত্র পূনরুদ্ধারে ছাত্রদলকে অগ্রণী ভূমিকা রাখার আহবান জানান।
আজ রবিবার বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে ছাত্রদলের ৪৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বিগত নির্বাচনগুলোতে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের সহযোগিতায় জনগণের মতামতকে হরণ করা হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে এখন কারও আগ্রহ নেই। নির্বাচন কমিশনের উপর মানুষের আস্থা নেই। তারা প্রকাশ্যে ভোট চুরি করেছে, তারপরও নির্লজ্জ নির্বাচন কমিশন পদত্যাগ না করে সেটাকে ডিফেন্ড করেছে। এর চেয়ে কলঙ্কময় অধ্যায় আর হতে পারে না। এখন আবারো নির্বাচন কমিশন গঠনের নামে রাষ্ট্রপতির সংলাপ চালিয়ে দলীয় কমিশন গঠনের পায়তারা চালাচ্ছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি'র আহবায়ক ও মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান সরকারের উদ্দেশে বলেন, আর সময় নাই, এখন উল্টাপাল্টা এদিক সেদিক করে কথা বলে কোনো লাভ হবে না। পদত্যাগ করে একটা নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দেন এবং তাদের অধীনে নির্বাচন কমিশন দিয়ে নির্বাচন দিয়ে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করুন। অন্যথায় পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ সাব্বির বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। যিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বারবার অধিক সংখ্যক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কোনো আসনে পরাজিত হননি। তিনি এদেশে গণতন্ত্র পূন:প্রবর্তনে অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালন করেন। অথচ একজন নাগরিকের পছন্দমতো চিকিৎসা নেয়ার মৌলিক অধিকার থেকে তাকে ক্রমাগতভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে। মিথ্যা মামলায়
কারাগারে যাওয়ার পর থেকেই বেগম জিয়া মারাত্মক শারীরিক জটিলতায় উপনীত হয়েছেন। অথচ তিনি হেঁটে হেঁটে আদালত থেকে জেলখানায় গিয়েছিলেন।
ছাত্রসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নাজিমুর রহমান, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও যুবদল সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর বিএনপির সদস্য আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও মহানগর বিএনপির সদস্য গাজী মোহাম্মদ সিরাজ উল্লাহ, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান।
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আসিফ চৌধুরী লিমন, তারিকুল ইসলাম তানবীর, সালাউদ্দিন সাহেদ, সামিয়াত আমিন জিসান, জিএম সালাউদ্দিন কাদের আসাদ, আরিফুর রহমান (মাস্টার আরিফ), আরিফুর রহমান মিঠু, শহিদুল ইসলাম সুমন, সাব্বির আহমেদ, এম এ হাসান বাপ্পা, রাজিবুল হক বাপ্পী, মাহমুদুর রহমান বাবু, মোঃ ইসমাইল হোসেন, মোঃ আনাছ, জাহেদ হোসেন খান জসি। সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শামসুদ্দিন শামসু, আবু কাউছার, শাহরিয়ার আহমেদ, আল মামুন সাদ্দাম, দেলোয়ার হোসেন শিশির, মাহমুদুল হাসান রাজু, কামরুল হাসান আকাশ, এনামুল হক, আবুল হাসনাত জুয়েল ও আব্বাস উদ্দিন সহ মহানগর আওতাধীন বিভিন্ন থানা, কলেজ ও ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ।