নৌকা-লাঙ্গলসহ ১৩ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২৬ এএম, ২৯ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ১০:১৩ পিএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার পাঁচ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ভোটযুদ্ধের মাঠে প্রার্থী ছিলেন ২৯ জন। এর মধ্যে জামানত হারিয়েছেন নৌকা ও লাঙ্গল মার্কার প্রার্থীসহ ১৩ জন। চতুর্থ ধাপের এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত রবিবার। এদিনে উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নে নৌকা মার্কার প্রার্থী হাসিনা বেগম ভোট পেয়েছেন মাত্র ৯৩টি। গড়ে প্রতি কেন্দ্রে তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ১০ দশমিক তিন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা মার্কার প্রার্থী মোহাম্মদ আবুল কাশেম আলী ভোট পেয়েছেন ২২৬টি। টেলিফোন মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহফুজ রেজা ৭৬টি ভোট পেয়ে জামানত হারান। এই ইউনিয়নে মোট ভোটারের মধ্যে পোলিং ভোটের সংখ্যা ১৪ হাজার ৭৭৮। সবচেয়ে বেশি চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন বহুল আলোচিত বোতলাগাড়ী ইউনিয়নে। এ ইউনিয়নে জামানতও হারিয়েছেন সবচেয়ে বেশিসংখ্যক প্রার্থী। ১০ প্রার্থীর মধ্যে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৬ জনের। এতে জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন আব্দুল হান্নান চৌধুরী আবু। তিনি টেলিফোন মার্কায় ভোট পেয়ে তার সংগ্রহের তালিকায় ভোট দেখা মেলে ৩৬৮টি। জামায়াত মনোনীত স্বতন্ত্র প্রার্থী খাদেমুল বসুনিয়া চশমা মার্কায় ২ হাজার ৩৩ ভোট পেয়ে জামানত হারানোর তালিকায় নাম লিখিয়েছেন। হাতপাখা মার্কার প্রার্থী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা জাহাঙ্গীর আলম ৩৬০ ভোট পাওয়ায় তিনিও জামানত রক্ষা করতে পারেননি। ধনাঢ্য ব্যবসায়ী টেবিল ফ্যান মার্কার প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী ওরফে রেজা চৌধুরীর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৩২৯টি। এত অল্প পরিমাণ ভোট পাওয়ায় তিনিও জামানত বাঁচাতে পারলেন না। এ ইউনিয়নের স্বনামধন্য ব্যক্তি শফিকুল আলম বসুনিয়া দুটি পাতা মার্কা নিয়ে ভোট পান ৬৫। তারও জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। বিএনপি নেতা প্রার্থী শরিফুল ইসলাম মোটরসাইকেল মার্কার এক হাজার ৯৪১ ভোট পেয়েও জামানত খোয়াতে হলো তাকে। এ ইউনিয়নে ভোট পোলিং হয়েছে ২৩ হাজার ৮১৬। বাঙালিপুর ইউনিয়নে প্রার্থীর সংখ্যা ছিল চারজন। তাদের মধ্যে জামানত হারিয়েছে মাত্র একজন। জামানত হারানোর ব্যক্তির নাম জামিনুল ইসলাম। তিনি হাতপাখা মার্কা নিয়ে চেয়ারম্যান পদে লড়েন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত এ প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৬৯৮। এ ইউনিয়নে ১৩ হাজার ১৬২ জন নাগরিক ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। কাশিরাম বেলপুকুল ইউনিয়নের চার চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে কারোর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়নি। তারা জামানতের টাকা রক্ষা করে সম্মান ধরে রাখার চেষ্টা করেছেন। জামানত হারিয়েছেন কামারপুকুর ইউনিয়নের ছয় প্রার্থীর মধ্যে তিনজন। জাতীয় পার্টির মনোনীত লাঙ্গল মার্কার প্রার্থী নূর আলম ভরসা তিনি ভোট পেয়েছেন ২ হাজার ২০। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা মার্কার প্রার্থী সাজেদুল ইসলামের প্রাপ্ত ভোট ১৮৬ এবং জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী মোজাহারুল ইসলাম চশমা মার্কার প্রার্থী পেয়েছেন ১ হাজার ২৯১ ভোট। সুশীল সমাজে এসব প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা থাকার পরও তারা ভোটের রাজনীতিতে জামানতের টাকাও রক্ষা করতে পারেননি। এ ইউনিয়নে গ্রহণকৃত ভোটের সংখ্যা ১২ হাজার ২৭১। সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার রবিউল ইসলাম জানান, মোট পোলিং ভোটের কমপক্ষে আটভাগের একভাগ প্রার্থী ভোট পেলে জামানতের টাকা ফেরত পান। কিন্তু ২৯ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ১৩ প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের ফলে দেখা যায়, তারা কেউ জামানত রক্ষা করার মতো ভোট ভোটারদের কাছ থেকে নিতে পারেননি।