তজুমদ্দিনে দুই মেম্বারপ্রার্থীর সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষ আহত-৩০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১৮ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:৫৫ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
রাত পোহালেই সোনপুর ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ এরই মধ্যে ভোলার তজুমদ্দিনে দুই মেম্বারপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলার ঘটনায় উভয় পক্ষে অন্তত ৩০জন আহত হয়েছে। একপক্ষের আহত ৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও বাঁধার কারণে অন্যপক্ষ হাসপাতালে ভর্তি হতে পারেনি। পরে আহতদেরকে বাসায় নিয়ে আসলে সেখানেও হামলার অভিযোগ করেন ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী মেজবাহ উদ্দিন ফারুক পালোয়ান।
হাসপাতাল ও আহত সুত্রে জানা যায়, রাত পোহালেই ২৬ ডিসেম্বর ২নং সোনাপুর ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ভোট গ্রহণ। গতকাল শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে সাড়ে ১১ টার দিকে সোনাপুর ৩নং ফরেষ্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় ২নং ওয়ার্ডের মেম্বারপ্রার্থী মেজবাহ উদ্দিন ফারুক পালোয়ান (ফুটবল) ও আরিফ তালুকদারের (মোরগ) সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় উভয় পক্ষের অন্তত ৩০জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে আরিফ তালুকদারের সমর্থক ৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ফারুক পালোয়ানের সমর্থকদের হাসপাতালে ভর্তি করতে আসলে আরিফের আত্নীয়স্বজন দ্বিতীয় দফায় হাসপাতালের মধ্যে হামলার শিকার হয়। পরে আহতদেরকে শশীগঞ্জ মধ্য বাজারে মেজবাহ উদ্দিন ফারুক পালোয়ানের ভাই নিরব পালোয়ানের বাসায় নিয়ে গেলে সেখানেও তৃতীয় দফা হামলা করার অভিযোগ করেন নীরব পালোয়ান। আহতরা হলেন, সেলিম (৪০), নুর মোহাম্মদ (২৫), শাহীন (২৫), মুনাফ মাঝি (৫৫) বিবি হাজেরা (৪৫), ২নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি সুলতান আহাম্মদ (৫০), সেলিম (৩৫), রাকিব (২০), সোহাগ (২৫) ও রিপন (২৪)’সহ উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়।
জানতে চাইলে ফারুক পালোয়ান বলেন, সোনাপুর ৩নং ফরেষ্ট অফিসের নিকট আমার সমর্থকরা নির্বাচনীয় ক্যাম্পে বসে গান শুনেন। এ সময় আরিফের সমর্থকরা অতর্কিত হামলা চালায় এতে আমার ১৫জন নেতাকর্মি আহত হয়। আহত কর্মিদের হাসপাতালে আনলে পুনরায় হামলা চালায়। পরে আমার ভাইর বাসায় নিলে সেখানে হামলা চালায় এবং আমার ভাইর স্ত্রীকে হেনস্তা করে।
আরিফ তালুকদারের বড় ভাই আনোয়ার হোসেন ডাক্তার বলেন, নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা বন্ধ থাকায় আরিফ ও আমি আমাদের কর্মিদের নিয়ে ক্যাম্পে বসে আলাপ-আলোচনা শেষে তাদেরকে বাসায় পাঠিয়ে দেই। রাত অনুমান ১২টার সময় প্রতিপক্ষের ১শত থেকে দেড়শক লোক নিয়ে আমাদের ভোটারদের বাড়ি গিয়ে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। পরে আমরা বিষয়টি থানায় জানাই পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে ফারুকের সমর্থকরা অন্য জায়গায় গিয়ে আরিফের সমর্থকদের উপর হামলা করে ১৫জনকে আহত করে।
চরজহির উদ্দিন পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে (আইসি) আব্দুল কাদের বলেন, ভোট চাইতে গিয়ে দুইপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এতে উভয় পক্ষের লোকজন আহত হয়েছে।