ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় আহত ২০, বাসে অগ্নিসংযোগ
বিজয় দিবসে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে আ.লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২৪ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:৪০ পিএম, ৯ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের প্রতিকৃতিতে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় আওয়ামী লীগের দুইপক্ষে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা পরিষদ গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ঘণ্টাব্যাপি পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় উভয়পক্ষের অন্তত ২০জন আহত হয়। ঘটনার পরপরই ঢাকা-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের মরুরা এলাকায় একটি যাত্রীবাহি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা প্রশাসন ও দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বিজয় র্যালি শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তর্বক অর্পণ করেন কিশোরগঞ্জ-২(কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া)আসনের সংসদ সদস্য সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ। পরে তিনি পাকুন্দিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত কুচকাওয়াজে অংশ নেন। এ সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: রফিকুল ইসলাম রেনু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোজলিন শহীদ চৌধুরী ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: রোয়ার জাহানসহ উপজেলা প্রশাসন এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক সাবেক সাংসদ অ্যাডভোকেট মো: সোহরাব উদ্দিন দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিতে যান। এ সময় সাংসদ নূর মোহাম্মদ সমর্থিত নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দেয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। একপর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তর্বক অর্পণ করেন মো: সোহরাব উদ্দিনসহ নেতাকর্মীরা। ঘণ্টাব্যাপি পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় ইট-পাটকেলের আঘাতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০জন আহত হয়।
এ সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
এদিকে ঘটনার কিছুক্ষণ পর ঢাকা-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের মরুরা এলাকায় একটি যাত্রীবাহি বাসে কে বা কারা অগ্নিসংযোগ করে। এতে কেউ হতাহত হয়নি। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
সাংসদ নূর মোহাম্মদ সমর্থিত জেলা শ্রমিকলীগের উপদেষ্টা আতাউল্লাহ সিদ্দিক মাসুদ বলেন, সাংসদ নূর মোহাম্মদ বাধা দেয়ার পক্ষে নন। সোহরাব উদ্দিন তার লোকজনসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ফুল দিতে আসেন। এ সময় তারা নূর মোহাম্মদ সমর্থিত ছাত্রলীগ নেতা সাকিবুল হাসান মুন্নার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মকছুদ মিয়াকে মারধর করেন। এতে দলীয় নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো.ফরিদ উদ্দিন বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও সাবেক সাংসদ মো: সোহরাব উদ্দিনের নেতৃত্বে আমরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিতে গেলে তারা আমাদের বাধা দেন। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে আমাদের ২-৩জন নেতাকর্মী আহত হন।
এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: সারোয়ার জাহান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জনগনের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে দুই রাউন্ড কাদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।