সরকারের সদিচ্ছা নেই বলে আইনের দোহাই দিয়ে খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে - নার্গিস বেগম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩৯ এএম, ৪ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ১১:৫৯ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেছেন, আইন বড় কথা নয়, সরকার প্রধানের ইচ্ছাটাই বড় কথা। তার সদিচ্ছা নেই, তাই আইনের দোহাই দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে আটকে রেখে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে। সরকার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার কারণে বিনা চিকিৎসায় তিলে তিলে হত্যা করছে। এই কর্তৃত্ববাদী সরকারের কাছে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চিকিৎসার আবেদন নিবেদন করে কোন লাভ নেই। তাদের পতন ছাড়া দাবি কোন দিনই পূরণ হবে না। এক দফা আন্দোলনের মাধ্যমে জনবিচ্ছিন্ন এই সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হবে।
আজ শুক্রবার জেলা কৃষকদল আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অধ্যাপক নার্গিস বেগম আরও বলেন, এই সরকারের কাছে শুধু বেগম খালেদা জিয়া নন, দেশের কোন মানুষই নিরাপদ নন। সরকারের কতখানি ধৃষ্টতা তারা বলে বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা নিতে হলে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। শেখ হাসিনা আর বেগম খালেদা জিয়া এক নন। আপোষ করার জন্যে বেগম খালেদা জিয়ার জন্ম হয়নি। আজ পর্যন্ত তিনি কারো সাথে আপোষ কিংবা মাথা নত করেননি। তিনি আপোষহীন বলেই আজ বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুপথযাত্রী।
অধ্যাপক নার্গিস বেগম আরও বলেন, সরকার অনেক আগেই জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গোটা দেশ ও জাতিকে জিম্মি করে রেখেছে। জনগণকে সুসংগঠিত করে একটি ঐক্যবদ্ধ তীব্র গণআন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হবে।
জেলা কৃষক দলের সহ-সভাপতি সিকদার সালাউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মকবুল হোসেনের পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুস সালাম আজাদ, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আমির ফয়সাল, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পি, কৃষকদল নেতা জাকির হোসেন, কামাল হোসেন, মশিয়ার রহমান, ফুল মিয়া, শওকত হোসেন, নাজিম উদ্দিন, মিজানুর রহমান, আমিরুল ইসলাম, আশরাফ হোসেন, শাখাওয়াত হোসেন, শওকত হোসেন, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।