দৌলতপুরে ইউপি নির্বাচনে সংঘর্ষে আহত ১০, প্রিজাইডিং অফিসার অবরুদ্ধ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১২ এএম, ৩০ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০২:২৩ পিএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দৌলতপুর উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের ব্যাপক ভরাডুবি হয়েছে। ১৪ টি ইউনিয়নের ৪টি নৌকা ও ১০টি তে বিদ্রোহী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। কেন্দ্র দখল সহ বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে সংঘর্ষ ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। আল্লারদর্গা রহিমা বেগম একাডেমী কেন্দ্র তারাগুনিয়া শহীদ রফিক নগর কেন্দ্রে, ফিলিপনগর, চরসাদিপুর, আড়িয়া সহ বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে সংঘর্ষ হয়েছে। এদিকে সোমবার বিকেলে আওয়ামীলীগের প্রতিপক্ষর আনন্দ মিছিলে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে এতে অনন্ত ১০ জন আহত হয়েছে। পরে পুলিশ পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রাতে আল্লারদর্গায় রহিমা বেগম একাডেমী ভোট কেন্দ্রে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং কেন্দ্র ঘিরে রাখে, র্যাব-পুলিশের নিয়ত্রণে প্রিজায়ডিং অফিসারসহ অন্যান্যরা দুই ঘন্টা পর মুক্তি পায়।
গতকাল রবিবার (২৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে সাত টার দিকে ভোটের রেজাল্ট ঘোষনা হবে এমন সময় সাবেক এমপি রেজাউল হক চৌধূরীর ছেলে এমরান হোসেন কলিন্স এসে কেন্দের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় এলাকার বিভিন্ন চেয়ারম্যান-মেম্বর প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা তাকে গেটের ভিতরে যেতে বাঁধাদেয়। এক পর্যায়ে কেন্দের ফলাফল অজ্ঞাত কারণে বন্ধ রাখে প্রিজায়ডিং অফিসার। উত্তেজিত এলাকাবাসীর দাবী এমপি পুত্র কলিন্স ইতি পূর্বে ভোট গণনা না করে এই কেন্দ্র থেকে তার ইচ্ছা মত প্রার্থীকে ভোটে জিতায়ে দিয়ে ঘোষনা দিয়েছিল। এলাকার সচেতন মহল বিষয়টি আচ করতে পেরে দৌলতপুর থানার ওসি এস.এম.জাবেদ হোসেনকে খবর দেন, বিষয় আমলে নিয়ে একজন নির্বাহী ম্যাজিট্রেটের উপস্থিতিতে পুলিশ-র্যাব মিলে পর্যায় ক্রমে প্রায় ২০ গাড়ী ফোর্স মোতায়েন করার পর কেন্দ্রের রায় ঘোষনা করে, উত্তেজিত জনতাকে ছত্র ভঙ্গ করে এবং পরিস্থিতি নিয়ত্রেনে আসে। তবে এ ঘটনায় কেউ কোন প্রকার হতাহত হয়নি।