বিএনপির স্মারকলিপি দেয়ার সময় গণমাধ্যমকর্মিদের কক্ষ থেকে বের করে দিলেন জেলা প্রশাসক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৪১ পিএম, ২৪ নভেম্বর,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:০৮ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
নোয়াখালীতে জেলা প্রশাসককে বিএনপির স্মারকলিপি প্রদানের সময় গণমাধ্যমকর্মিদের নিজ কক্ষ থেকে বের করে দিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান। জেলা প্রশাসক দায়িত্বরত গণমাধ্যমকর্মিদের রুক্ষ ভাষায় নিজ কক্ষ থেকে বের করে দেন।
আজ বুধবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর জেলায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মিরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বুধবার দুপুরে বিএনপির জেলা কমিটির সভাপতি গোলাম হায়দার ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আবদুর রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মিরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে যান। কার্যালয়ের নিচে প্রধান ফটকের সামনে নেতাকর্মিরা ব্যানার নিয়ে কিছু সময় অবস্থান করেন। পরে জেলা প্রশাসকের কক্ষে প্রবেশ করেন জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। এসময় গণমাধ্যমকর্মিরা সংবাদ সংগ্রহের জন্য জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম খানের কক্ষে প্রবেশ করলে বিএনপির নেতৃবৃন্দকে কক্ষে থাকতে বলে গণমাধ্যমকর্মিদের রুঢ় ভাষায় কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। তার এমন আচরণে গণমাধ্যমকর্মিরা স্মারকলিপি প্রদানের সংবাদ সংগ্রহ না করেই বের হতে বাধ্য হয়।
ডিবিসি টিভিরি নোয়াখালী প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান চৌধুরী কাজল অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির স্মারকলিপি দেয়ার সংবাদটি আমার অফিস এ্যাসাইনমেন্ট ছিলো। সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে জেলা প্রশাসক আমিসহ অন্যান্য গণমাধ্যমকর্মীদের 'আপনারা কেন এসেছেন, বের হয়ে যান, এখান থেকে বের হয়ে যান বলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এসময় চ্যানেল টেয়েন্টিফোর ও বাংলাদেশ পোস্টসহ জেলায় কর্মরত বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মি বের হয়ে যান। আমার অফিস এ্যাসাইনমেন্ট হওয়ায় ওই কক্ষে অপেক্ষা করি। কিছুক্ষণ পরেই তিনি আমাকে 'এই আপনি এখনো বের হননি? বলেছি না বেরিয়ে যেতে, বের হন, বের হন বলে আবারও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
বাংলাদেশ পোস্টের জেলা প্রতিনিধি দ্বীপ আজাদ বলেন, জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ, জেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তার সামনেই তিনি খুবই রুক্ষ ভাষায় আমাদের বের হয়ে যেতে বলেন। সাংবাদিকদের প্রত্যেকেরই প্রত্যেকেরই পরিচয়পত্র, বুম, ক্যামেরায় স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের লোগো সাঁটানো ছিলো। তারপরও তিনি সবাইকে বের করে দেন। চ্যানেল টেয়েন্টিফোরের ক্যামেরাপার্সন রফিক উল্যাহ সুমন বলেন, এত বছর কাজ করছি এভাবে আমাদের কেউ বের করে দেয়নি। উনি তো আমাদের চেনেন তবুও তিনি (ডিসি) হাত নির্দেশ করে তার কক্ষ থেকে সাংবাদিক ও ক্যামেরাপার্সনদের বের করে দেন।
বিএনপির জেলা কমিটির সিনিয়র নেতারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমাদের স্মারকলিপি প্রদানের সময় জেলা প্রশাসক গণমাধ্যমকর্মীদের তার কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। আমাদের অনুরোধের পরও তিনি সংবাদ সংগ্রহের জন্য তাদের অনুমতি দেননি। বিষয়টি খুবই দু:জনক। জেলা প্রশাসকের এটা উচিত হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান বলেন, আমি আসলে চিনতে পারিনি। আমি মনে করেছি বিএনপির দলীয় লোক ও তাদের নিজস্ব ক্যামেরাম্যান।