খুলনায় স্মারকলিপি প্রদান শেষে সাবেক সাংসদ মঞ্জু
সরকার জনগণের অবিসংবাদিত নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি মনুষ্যত্বহীন আচরণ করছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৬ পিএম, ২৪ নভেম্বর,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:৪৯ পিএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অবস্থায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারী সাজানো মামলায় ফরমায়েসী রায়ের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী করা হয়। তাঁকে যখন কারাগারে নেয়া হয় তখন তিনি সুস্থ ছিলেন, যা দেশবাসী গণমাধ্যমে অবলোকন করেছেন। দীর্ঘ কারাবাসে তিনি ক্রমান্বয়ে অসুস্থ হতে থাকেন। কারাগারে নানাবিধ জটিল রোগে ভুগতে থাকলেও সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার তাঁর সুচিকিৎসার জন্য দাবি করা হলেও সরকার এ বিষয়ে সম্পূর্ণরুপে নির্বিকার থাকে। নিজ বাসভবনে অবস্থান করলেও মূলত: বেগম খালেদা জিয়া বন্দী এবং তাঁর সকল মৌলিক মানবাধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে।
আজ বুধবার বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. সাদিকুর রহমান খানের কাছে গুরুতর অসুস্থ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং সুচিকিৎসার জন্য বিদেশ প্রেরণের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।
সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জু আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়া করোনায় গুরুতরভাবে আক্রান্ত হন। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠলেও পোষ্টকোভিড জটিলতা এবং এর ওপর নানাবিধ রোগ তাঁর জীবনকে বিপন্ন করে তুলেছে। চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডও তাঁকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুপারিশ করেছে। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে চিকিৎসার দাবি শুধুমাত্র বিএনপি-ই নয়, দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ ও আইন বিশেষজ্ঞগণ জানিয়েছেন। দেশের আপামর জনসাধারন দেশনেত্রীর মুক্তি এবং বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে সোচ্চার। সুচিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে দেশের প্রচলিত আইনে কোন বাধা নেই বলে আইন বিশেজ্ঞরা অভিমত দিয়েছেন। কিন্তু কর্তৃত্ববাদী দুর্বিনীত অমানবিক সিদ্ধান্তে জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে থাকা বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে সুচিকিৎসার সুযোগ না দেয়া তাঁর মৌলিক অধিকার হরণ। বেগম খালেদা জিয়া সুচিৎসার জন্য তাঁকে অবিলম্বে বিদেশ পাঠানো না হলে এবং এর ফলে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটলে সরকার এর দায় এড়াতে পারবে না। জনগণ মনে করে, সরকার নিজেদের সীমাহীন ব্যর্থতা আড়াল করার জন্য দেশকে অরাজক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিতেই জনগণের অবিসংবাদিত নেত্রী বেগম জিয়ার প্রতি মনুষ্যত্বহীন আচরণ করেছে। এই মূহুর্তে মানবিক বিবেচনায় বেগম জিয়াকে মুক্তি এবং তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অবিলম্বে বিদেশ পাঠাতে হবে। বেগম জিয়ার মুক্তি এবং সুচিকিৎসা পেতে তাঁকে বিদেশ পাঠানোর দাবী এখন জনদাবীতে পরিণত হয়েছে।
স্মারনকলিপি প্রদান কালে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, রেহানা ঈসা, শাহজালাল বাবলু, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান মন্টু, শেখ আব্দুর রশিদ, মোল্যা খায়রুল ইসলাম, সাইফুর রহমান মিন্টু, অধ্যাপক মনিরুল হক বাবলু, আব্দুর রকিব মল্লিক, আবু হোসেন বাবু, কামরুজ্জামান টুকু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, সামসুল আলম পিন্টু, ওহেদুর রহমান রানা, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, ইকবাল হোসেন খোকন, নিজাম উর রহমান লালু, মুন্সি শফিকুল আলম, হাসানুর রশিদ মিরাজ, মিজানুর রহমান মিলটন, শামসুজ্জামান চঞ্চল, খায়রুল ইসলাম জনি, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, কাজী শফিকুল ইসলাম শফি, তানভীরুল আজম রুম্মন, কালাম শিকদার, সামসুল বারী পান্না, ইশহাক শিকদার, ইমতিয়াজ আলম বাবু, আসলাম হোসেন, সাইমুন ইসলাম রাজ্জাক, মোহাম্মাদ আলী, শাহনাজ পারভীন, শামীম আশরাফ, শাকিল আহমেদ, মশিউর রহমান লিটন, সাজ্জাত হোসেন জিতু, এডভোকেট এস এম মারুফ হোসেন, আলমগীর হোসেন প্রমুখ।