তারেক রহমানের নেতৃত্বেই গণতন্ত্রের মুক্তি আসবে - আমান উল্লাহ আমান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৪৫ এএম, ১৫ নভেম্বর,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৩৩ এএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
'দেশের মানুষের হারানো ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের লক্ষ্যে ৯০-এর চেতনায় গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি হবে। সেটাই জনগণের প্রত্যাশা। কোন পাতানো নির্বাচন কিংবা অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ড বাংলার মাটিতে আর হতে দেওয়া হবে না৷ গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য প্রয়োজনে বুক পেতে গুলি হজম করতে প্রস্তুত।' তিনি বলেন ৭ই নভেম্বরের জিয়ার ভূমিকায় ২০২১ শে তারেক রহমান রয়েছেন। উনার নেতৃত্বেয় আরেক টা বিপ্লব হবে তার মাধ্যমেই বাংলাদেশের মুক্তি আসবে ইনশাআল্লাহ্।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল আমিরাতের উদ্যোগে শুক্রবার আয়োজিত জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী, ডাকসুর সাবেক ভিপি বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান। তিনি আরো বলেন, দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী করতে ইউএই বিএনপির সভাপতি জাকির হোসেনের নেতৃত্বে প্রবাসী জিয়ার আদর্শের রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
প্রধান বক্তা কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া ও তার পরিবারের অবদান জাতি অস্বীকার করেনা৷ কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছর পর ক্ষমতা দখল করে আ.লীগ ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের এই অপচেষ্টা দেশের জনগণ প্রতিহত করবে। ১৯৭১ এর স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েই শহিদ জিয়া বসে থাকেনি সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহি জনতার বিপ্লবের মহা নায়ক ছিলেন জিয়া। নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম জিয়া। বর্তমান স্বৈরাচার সরকারের পতন হবে তারেক জিয়ার নেতৃত্বে। তারেক রহমানই আগামীর বাংলাদেশ তাই আমাদের দায়িত্ব নিজ অবস্থান থেকেই উনার হাত কে শক্তিশালী করা।
ভিডিও কনফারেন্সে বিশেষ বক্তা কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, দূর প্রবাস থেকে আপনারা যেভাবে দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শরিক হচ্ছেন তা জাতি মনে রাখবে৷ আপনারা আগামীর রাষ্ট্র নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশ-বিদেশে গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে নব-জাগরণ সৃষ্টি হবে৷ সেই আন্দোলনের ফলপ্রসূ হিসেবে আগামী নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে এবং দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন বেগম জিয়া৷
বিশেষ বক্তার বক্তব্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, বুলেটের ভয় কিংবা জেলের ভয় আমাদের যারা দেখায় তারা ভীতু। আমরা দেশকে ভালোবাসি তাই দেশের জন্য জীবন দেব তবুও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে আর ধ্বংস করতে দেব না৷
সভাপতির বক্তব্যে আমিরাত বিএনপির সভাপতি জাকির হোসেন বলেন বিপ্লব ও সংহতি দিবস অন্তত গুরুত্বপূর্ণ এই দিবদ না হলে স্বাধীন স্বার্বভৌমত্ব বাংলাদেশ হতনা। আপনারা দেখেছেন কিছুদিন পূর্বে লন্ডনে দেশনায়ক তারেক রহমান যেই দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য দিয়েছেন সেটার উপর ভিত্তি করে করে কাজ করতে হবে।শুধু দোয়া করলে সব হয়ে যাবেনা বিপ্লবি হতে হবে। আগামীর বাংলাদেশ তারেক রহমানের নেতৃত্বে হবে। তিনি আরো বলেন ইউএই বিএনপির চলমান কর্মকাণ্ড কে আরো গতিশীল করার লক্ষে আমরা দুইটি প্রুগ্রাম হাতে নিয়েছি যা আমিরাত বিএনপির ইতিহাসে স্মরণীয় করে পালন করব ইনশাআল্লাহ।
আমিরাত বিএনপির সভাপতি জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক মাহি আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমিরাত বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা আবদুস সালাম খান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল সালাম তালুকদার। সহ সভাপতি আমিরুল ইসলাম এনাম,
বক্তব্য রাখেন, ইউএই বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস খালেক,সেলিম উদ্দিন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম রুপু,আজমান বিএনপির সভাপতি শাহিনুর শাহিন,আবুধাবি বিএনপির সভাপতি ইসমাঈল হোসেন তালুকদার, রুহুল আমিন, ইঞ্জিনিয়ার করিমুল হক, অনুষ্ঠানে আরো যারা বক্তব্য রাখেন মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা সামসুন্নাহার সপ্না, নাসির চৌধুরী, আবু সাহেদ রাসেল, এস,এম মোদাচ্ছের শাহ সহ অনেকেই।