দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণ দিশেহারা - ডা.শাহাদত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০৫ এএম, ৬ নভেম্বর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ১০:৪২ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সরকার জ্বালানি তেলের দাম আবারো অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে। কেরোসিন ও ডিজেলের দাম ৬৫ টাকা থেকে ৮০ টাকা করা হয়েছে। এক লাফে ২৩% দাম বাড়ানো কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এতে মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে এবং বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। কোন রকম নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে এবং দেশের বাস্তব অবস্থাকে বিবেচনায় না নিয়ে হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি জনগণকে বিস্মিত করেছে। কোনো দায়িত্বশীল ও জনগণের সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। এমনিতেই চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণ দিশেহারা। চট্টগ্রাম ওয়াসাও আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকে পানির দাম ৫% বাড়ানোর ঘোষনা দিয়েছে। এদিকে নতুন করে সরকার ডিজেল কেরোসিন ও এলপি গ্যাসের দাম বাড়ানোয় “মরার ওপর খাড়ার ঘা” হিসেবে জনগণের জীবনযাত্রাকে বিপন্ন করে তুলবে। এতে কৃষি উৎপাদনে সেচ খরচ, পরিবহনে যাত্রী ভাড়া ও পণ্য পরিবহন ব্যয় এবং গৃহস্থালি ও হোটেল রেস্টুরেন্টে রান্নার ব্যয় বাড়বে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা। দাম বাড়ানোর প্রতিযোগীতা দেখে মনে হচ্ছে দেশটা এখন মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে।
তিনি অবিলম্বে এই বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার আহবান জানান।
আজ শুক্রবার বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে আসন্ন ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রস্ততি সভায় আগামী ৭ নভেম্বর রবিবার সকাল ১১ টায় নগরীর ষোলশহর ২নং গেইটস্থ বিপ্লব উদ্যানে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ৮ নভেম্বর সোমবার বিকাল ৩ টায় কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে আলোচনা সভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়।
এসময় ডা. শাহাদাত বলেন, এই সরকার নির্বাচিত সরকার নয়, যার কারণে তাদেরকে কোথাও জবাবদিহি করতে হয় না। তাই তাদের ব্যবসায়ী মুনাফা ও পকেট ভারী করার জন্য সব কিছুর দাম বাড়িয়ে চলছে। সব কিছুর দাম বাড়িয়ে এই সরকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে দমনমূলক আচরণ করছে। এলপি গ্যাসের নতুন দাম ১০৯ টাকা ৪২ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম এক হাজার ২৫৯ টাকার পরিবর্তে এখন এক হাজার ৩১৩ টাকায় বিক্রি হবে। সীমাহীন লুটপাট ও দুর্নীতির আর্থিক দায় জনগণের কাঁধে চাপাতেই জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে সরকার। দেশবাসীকে সরকারের এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।