সরকার বাকশালী কায়দায় বিরোধী দল ও মত দমনে অধিক মাত্রায় বেপরোয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৩১ এএম, ৪ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ১১:২০ পিএম, ১২ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকারের নানা অপকর্মে দেশ এখন ভয়াবহ নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সম্মুখীন। রাষ্ট্র পরিচালনায় সব ক্ষেত্রে চরম ব্যর্থ বর্তমান অবৈধ সরকার মানুষের ভোটের অধিকার এবং গণতান্ত্রিক অধিকার ভূলুণ্ঠিত করে বাকশালী কায়দায় বিরোধী দল ও মত দমনে এখন অধিক মাত্রায় বেপরোয়া। বিরামহীন গতিতে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও কাল্পনিক কাহিনি তৈরির মাধ্যমে মামলা দিয়ে কারান্তরীণ করা হচ্ছে।
আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ে ৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস, ৪ নভেম্বর বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী জননেতা মরহুম তরিকুল ইসলাম এর ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী, ৬ নভেম্বর খুলনা মহানগর বিএনপির সংগ্রামী সহ-সভাপতি মরহুম এসএম মোরশেদ আলমের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে মহানগর বিএনপির প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গণতন্ত্র উদ্ধারে সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জু আরো বলেন, এটা শুধু একা বিএনপির সংগ্রাম নয়। এটা পুরো জাতির সংগ্রাম। এ থেকে উদ্ধার পেতে হলে পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। একই সাথে দেশনেত্রী বেগম জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। কারো দয়ায় নয় মামলায় জামিন দিয়ে তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে হবে, এটাই জনগণের দাবি। তিনি জাতি ও দলের স্বার্থে সকল মতপার্থাক্য ভুলে কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও চলমান গণতন্ত্রের সংগ্রামে চূড়ান্ত বিজয়ের লক্ষে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান।
সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মাদ মনিরুজ্জামান মনি, শেখ মোশাররফ হোসেন, শাহজালাল বাবলু, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, সিরাজুল হক নান্নু, মো. মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, মেহেদী হাসান দিপু, মহিবুজ্জামান কচি, ইকবাল হোসেন খোকন, নিজাম উর রহমান লালু, ইউসুফ হারুন মজনু, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, হাসানুর রশিদ মিরাজ, শামসুজ্জামান চঞ্চল, মজিবর রহমান ফয়েজ, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, কাজী শফিকুল ইসলাম শফি, আবু সাঈদ শেখ, নাজির উদ্দিন আহমেদ নান্নু, আবুল কালাম শিকদার, বদরুল আনাম, এনামুল হাসান ডায়মন্ড, আফসার উদ্দিন মাষ্টার, ইশহাক তালুকদার, কাজী আব্দুল লতিফ, আকরাম হোসেন খোকন, রবিউল ইসলাম রবি, মেজবাহ উদ্দিন মিজু, আব্দুল জব্বার, জাহিদ কামাল টিটু, নাসির খান, আব্দুল আলিম, এইচএম আসলাম, তৌহিদুল ইসলাম খোকন, আব্দুর রহমান, মোস্তফা কামাল, আনছার চৌধুরী, জাহাঙ্গীর হোসেন, নুরে আব্দুল্লাহ, লিটু পটোয়ারী, তরিকুল আলম তুষার, মোহাম্মদ আলী, সায়মুন ইসলাম রাজ্জাক, কাজী মাহমুদ আলী, হেদায়েত হোসেন হেদু, এস এম জসিম উদ্দিন, জিএম মঈন উদ্দিন, সেলিম কাজী, মনিরুজ্জামান মনি, মিনা মুরাদ, ডা. হালিম মোড়ল, জামাল উদ্দিন মোড়ল, শামীম আশরাফ, মনিরুল ইসলাম, হেলাল শরীফ, ইকবাল হোসেন, শফিক, সৈয়দ গাজী, আলমগীর হোসেন, সেলিম বড় মিয়া, হাসান আল মামুন বাপ্পী, সাজ্জাত হোসেন জিতু, এবাদুল হক, আশরাফ হোসেন, জাফর প্রমখ। কোরআন তেলেওয়াত করেন মাওলানা আব্দুল গফ্ফার। সভায় সর্বসম্মতি ক্রমে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় দলীয় কার্যালয়ে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী জননেতা মরহুম তরিকুল ইসলাম এবং ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আগামী ৫ নভেম্বর শুক্রবার যশোরের কর্মসূচিতে যোগদান, ৬ নভেম্বর শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় দলীয় কার্যালয়ে এসএম মোরশেদ আলমের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল, ৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে দলীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন ফেস্টুন দলীয় কার্যালয়ে বেলা সাড়ে ১১টায় আলোচনা সভা ও শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় বিএনপি নেতা জালু মিয়া এবং তাঁতী দলের সদস্য সচিব ম শ আলমের আশু রোগমুক্তি কামনা করা হয়।