সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চক্রান্ত করছে - মঞ্জু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০৫ পিএম, ১৮ অক্টোবর,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৪৫ এএম, ৯ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
গনতান্ত্রিক আন্দোলনকে বাধাগ্রস্থ করতে এবং জনরোষে ভীত হয়ে ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আওয়ামী সরকার এখন আরো বেশী মাত্রায় অপকর্মে আশ্রয় নিয়ে পরিকল্পিতভাবে অরাজকতা সৃষ্টি করছে। এদের কোনো গণভিত্তি নেই বলেই আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে বিপজ্জনক নীলনকশা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের ওপরই দমন-পীড়ণ চালিয়েই তারা ক্ষান্ত হচ্ছে না বরং নতুন নতুন হিংস্র ঘটনার সৃষ্টি করে দেশবাসীর মধ্যে বিভেদ-বিভাজনের ভয়াবহ খেলায় মেতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চক্রান্ত করছে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সংগ্রামী সভাপতি ৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী গনতান্ত্রিক ছাত্র আন্দোলনের রাজপথের সাহসী নেতৃত্ব শহীদ ওয়াহিদুজ্জমান চঞ্চল’র ২৩তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির উদ্যোগে আজ সোমবার দুপুর ১২টায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু এসব কথা বলেন।
মঞ্জু বলেন, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের নীতি আওয়ামী লীগের ইতিহাস ও ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। কুমিল্লায় পূজাম-পের ঘটনার রেশ ধরে সারাদেশে যে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে, তা যে সরকারের ন্যক্কারজনক পরিকল্পিত নীল নকশা অনুযায়ী বাস্তবায়িত হচ্ছে; সেটি আজ জনগণের কাছে স্পষ্ট। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হয়েছে, তাদের উপাসনালয় ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। সাবেক সাংসদ মঞ্জু বলেন, দুর্গাপূজার প্রাক্কালে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ আশ্বাস দেওয়ার পরও কেন পবিত্র কোরআন অবমাননা, মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটলো। সরকারের মদদেই কুমিল্লায় পূজাম-পে চক্রান্তমূলক কুৎসিত কাজটি করা হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা জরুরি পূজাম-প ও মন্দিরগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পাঠানোর জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে অনুরোধ করলেও প্রশাসনের সাড়া না দেয়া তার প্রমান বহন করে।
তিনি বলেন, আজকের চলমান গনতান্ত্রিক আন্দোলনে চঞ্চলের মত সাহসী ত্যাগী সংগঠকের খুব প্রয়োজন ছিলো। মেধাবী ছাত্র, ছাত্র জীবনে পরীক্ষায় উজ্জ্বল ফলাফল ও কর্মীবান্ধব ছাত্র রাজনৈতিক ছিলেন শহীদ ছাত্রনেতা চঞ্চল। বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান মুরাদের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, নগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, আমীর এজাজ খান, শেখ ইকবাল হোসেন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, এড. ফজলে হালিম লিটন, শেখ আব্দুর রশিদ, সিরাজুল হক নান্নু, আবু হোসেন বাবু। এসময় উপস্থিত ছিলেন শেখ মুশাররফ হোসেন, রেহানা ঈসা, আব্দুর রকিব মল্লিক, মো. মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, মহিবুজ্জামান কচি, ইকবাল হোসেন খোকন, সাজ্জাদ হোসেন পরাগ, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, হাসানুর রশিদ মিরাজ, মিজানুর রহমান মিলটন, নাজমুস সাকিব পিন্টু, শামসুজ্জামান চঞ্চল, কাজী শফিকুল ইসলাম শফি, ম শ আলম, হাফেজ আবুল বাশার, জাফরী নেওয়াজ চন্দন, নাজির উদ্দিন নান্নু, শেখ জামিরুল ইসলাম, ইসাহাক তালুকদার, এনামুল হাসান ডায়মন্ড, আকরাম হোসেন খোকন, শরীফুল আনাম, মেজবাহ উদ্দিন মিজু, রবিউল ইসলাম রবি, নাসির খান, আশরাফ হোসেন, মুরসেলিন পাইলট, আসলাম হোসেন, জাকির হোসেন, মোস্তফা কামাল, আব্দুল আলিম, নিরু কাজী, তৌহিদ খোকন, রাহাত আলী লাচ্চু, এনামুল হক সজল, শেখ হেমায়েত হোসেন, মোল্লা কবির হোসেন, মনিরুজ্জামান মনি, হেদায়েত হোসেন হেদু, জাহাঙ্গীর হোসেন, লিটু পাটোয়ারি, আশরাফ আলী, জামাল উদ্দিন, মনিরুল হক, শামীম কাজি, ওহেদুজ্জামান খোকন, নুরে আব্দুল্লাহ, কাজী ফজলুল কবির টিটো, মিনা মুরাদ, ইখতেখারুজ্জামান নবীন, রাজু মোল্লা, শামীম আশরাফ, সেলিম, বড়মিয়া, ডা. আব্দুল হালিম মোড়ল, কাজী একরাম মিন্টু, হাবিবুর রহমান কাজল, হাবিব খান, ইউনুচ হোসেন, শফিকুল ইসলাম শাহিন, সাজ্জাত হোসেন জিতু, সেলিম কাজি, এবাদুল হক, মাসুদ রেজা, আবু জাফর, জাহাঙ্গীর হোসেন, হুমায়ুন কবির, মাসুদ রুমী, মিসেস মনি, শফিকুল ইসলাম মিঠু, তুহিন ইসলাম,এস এম মারুফ আহমেদ প্রমূখ।