‘নিরপেক্ষ সরকার’ না থাকলে বিএনপি সেই নির্বাচন মেনে নেবে না - মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৪৭ পিএম, ২ অক্টোবর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:১২ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২৪
আগামী জাতীয় নির্বাচনের সময়ে ‘নিরপেক্ষ সরকার’ না থাকলে বিএনপি সেই নির্বাচন মেনে নেবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমাদের কথা খুব পরিষ্কার, নির্বাচন নির্বাচন খেলা আর হবে না। নির্বাচন হতে হলে অবশ্যই একটি নির্বাচনকালীন সময়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে, নির্বাচন হতে হলে অবশ্যই একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচন হতে হবে। শেষ কথা আমরা কোনো নির্বাচন মেনে নেবো না যদি নির্বাচনকালীন সময়ে একটি নিরপেক্ষ সরকার না থাকে এবং একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় সেই নির্বাচন না হয়।
আজ শনিবার রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সিটিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত ‘২০০১ সালের ১ অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সর্বশেষ নিরপেক্ষ নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দ্বাদশ সংশোধনী অনুযায়ী বিচারপতি লতিফুর রহমানের নেতৃত্বে সর্বশেষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচনে বিএনপির সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ের পর বেগম খালেদা জিয়া সরকার গঠন করেছিলেন।
সরকারের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনাদের (সরকার) দিন ঘনিয়ে এসেছে, দিন শেষ। এখনো সময় আছে, মানুষের ভাষাগুলো পড়েন। দেয়ালের লিখন দেখেন। দেখে মানে মানে নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান তৈরি করে সরে যান এবং জনগণকে তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে দিন।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকে সকলে সুশৃঙ্খল হোন, বিশৃঙ্খল হবেন না। শুধু পদের জন্য দৌড়াবেন না। নতুন কমিটি হচ্ছে তার জন্য মাঠ বোঝাই করে দেবেন না। মাঠ বোঝাই করবেন যখন আন্দোলনের ডাক আসবে, মাঠ বোঝাই করবেন যখন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আমরা মাঠে নামব, গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য যখন আমরা মাঠে নামব। তখন মাঠ বোঝাই করবেন, রাস্তা বোঝাই করবেন। আসুন এটাই পথ। আন্দোলন ছাড়া, গণআন্দোলন ছাড়া, গণঅভ্যুত্থান ছাড়া এই দানবকে সরানো যাবে না। দানবকে সরাতে হলে আমাদের সমস্ত জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে, সকল রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে আমাদেরকে এই গণঅভ্যুত্থান ঘটাতে হবে। আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই, ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা এই দানবকে আমাদের বুকের ওপর থেকে সরিয়ে নিয়ে মুক্ত বাতাস, মুক্ত বাংলাদেশ, মুক্ত গণতন্ত্র সৃষ্টি করি।
সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ওরা ৩০ আসনও পাবে না বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো জনসমর্থন নাই। রাজনৈতিকভাবে তারা সম্পূর্ণ দেউলিয়া হয়ে গেছে। তারা জানে যে, যদি কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয় সেই নির্বাচনে তারা ৩০টা আসনও পাবে না। এই কারণে তারা কী করেছে? সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্রকে তারা দলীয়করণ করেছে। বিচার বিভাগ, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভাগ এমনটি দুর্ভাগ্যজনকভাবে কষ্ট হয় বলতে আমাদের এই যে, গণমাধ্যম-এটাকেও তারা নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছে। ফলে আজকে গোটা জাতি কথা বলতে পারছে না, তাদের মতামত দিতে পারছে না। আমরা সাধারণ মানুষ যারা, প্রজাতন্ত্রের যারা আমরা নাগরিক আমরা একটা দিনই রাজা হই। যেদিন আমি ভোট দিতে পারি। কিন্তু সেই ভোটের অধিকারটা এই সরকার কেড়ে নিয়েছে। এখন কেউ ভোট দিতে যেতে পারে না। এই ভোটের অধিকারটা, কথা বলার অধিকারটা এটা আমরা এমনি এমনি পাইনি। আমদের দীর্ঘদিন সংগ্রাম করতে হয়েছে, লড়াই করতে হয়েছে, আমাদের দেশকে স্বাধীন করতে একটা রক্তাক্ত যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বিজয়ী হতে হয়েছে।
তিনি বলেন, আজকে আওয়ামী লীগ এখন আবার চেষ্টা করছে আবার তারা ক্ষমতায় আসবে ওই ধরনের একটা নির্বাচন করে। যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে না। তারা ইভিএম চালু করেছে। এই যন্ত্র একটা বড় হাতিয়ার কি করে ভোট চুরি করা যায়, কি করে ভোট না পেয়ে আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত ঘোষণা করা যায়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হুদা সাহেব তিনি নির্বাচনি ব্যবস্থাকে ধবংস করে দিয়েছেন কয়েকদিন আগে তিনি রাশিয়াতে গিয়ে নির্বাচন পদ্ধতি দেখে এসেছেন। রাশিয়ার একই অবস্থা। একইভাবে যে থাকে সরকারে হয় সে একবার প্রেসিডেন্ট হন না হয় প্রধানমন্ত্রী হন। যা বাংলাদেশের সঙ্গে তার কোনো পার্থক্য নাই। ওটা দেখে এসেছেন উনি দিনের বেলা কিভাবে ভোট চুরি করা যায়, সেটা শিখে এসেছেন। এই চক্রান্ত, এই ষড়যন্ত্র, বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করবার এই ভয়াবহ যে প্রচেষ্টা-এটা আমাদেরকে রুখে দাঁড়াতে হবে। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন, সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ আইনসহ বিভিন্ন ‘ভয়ংকর’ সব আইন করে জনগণের কথা বলার অধিকারকে ‘সরকার পায়ের তলায় দাবিয়ে রেখেছে’ বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলে তারা সংবিধান বিরোধী কথা বলে। এই সংবিধানকে শেষ করে দিয়েছে কাটা-ছেঁড়া করে এই সরকার। তারা আবার লম্বা লম্বা কথা বলে। তারা (সরকার) বলছে, সংবিধান অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ফিরে যাওয়ার সুযোগ নাই। এর সোজা ভাষা হলো আওয়ামী লীগের ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার সুযোগ নাই। যে আওয়ামী লীগ চিরজীবন ক্ষমতা থেকে যাবে না। এই পুলিশ দিয়ে, এই প্রশাসন দিয়ে এই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দিয়ে বিএনপিকে দমন করে রেখে, দেশবাসীকে দমন করে রেখে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকবে। তারা একটা ইতিহাস ভুলে গেছে পৃথিবীতে কোনো স্বৈরাচার টিকে থাকতে পারেনি এবং স্বৈরাচারকে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। আমাদের এখন একটাই কথা যে, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। বিএনপিকে সভা-সমাবেশ করার অনুমতি দিতে হবে দাবি করে তিনি বলেন, আমাদেরকে প্রেসক্লাবে জায়গা দেবেন না, আমাদেরকে ফুটপাতে জায়গা দেবেন না। আমাদের সভা-সমাবেশ করতে দেবেন না। এটা হবে না। সব মানুষের মুখে একটা আওয়াজ- আওয়ামী লীগ বোধহয় গেলো, বিএনপি বোধহয় আসছে। ইনশাল্লাহ আওয়ামী লীগ যাবে, বিএনপি ইনশাল্লাহ আসবে। আওয়ামী লীগের পতন আমাদের ঘটাতেই হবে যেভাবে হোক। এই শত্রুকে নিপাত করতে হবে। এরা থাকলে আমাদের স্বাধীনতা থাকবে না, আমাদের সার্বভৌমত্ব থাকবেন না, এদেশে গণতন্ত্র থাকবে না, এদেশের মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা থাকবে না।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেছেন, যতক্ষণ তত্ত্বাবধায়ক সরকার না দিবে ততক্ষণ রাজপথে যদি আমাদের মৃত্যুও হয় আমরা রাজপথ ছেড়ে যাবো না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একটি স্লোগান আছে, ‘যদি তুমি ভয় পাও তবে তুমি শেষ, যদি তুমি রুখে দাঁড়াও তবেই বাংলাদেশ’। সেই বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য, শহীদ জিয়া, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা আরেকবার যুদ্ধ করে বিজয়ী হবোই ইনশাআল্লাহ। বর্তমান সরকারের পদত্যাগের দাবিকে বেঠিক বলে মন্তব্য করেন ড. মাহবুব উল্লাহ।
তিনি বলেন, বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী এই সরকার পদত্যাগ করলে যাদের দিয়ে অন্তবর্তী সরকার হবে, সেটাও হবে তাদের দিয়ে। তাই এই সরকারের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনতে হলে সংবিধানে সংশোধনী আনতে হবে। এটা করতে হলে কোনো ছোটখাটো আন্দোলনে হবে না।
অতীত অভিজ্ঞতা বলে, এ ধরনের আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে না পারলে কেবল দলীয় কর্মীদের দিয়ে, দৃঢ় সমর্থকদের দিয়ে গণ-আন্দোলন হয় না। গণ-আন্দোলনে ব্যাকরণ অনুযায়ী আন্দোলনকে ধাপে ধাপে সম্প্রসারণ ও তীব্র করতে হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তা দেখছি না। এটাই জাতির বড় সংকট।
ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, আমি কিন্তু বিএনপির কোনো সদস্য নই। তারপরও এখানে এসেছি নিজের প্রাণের তাগিদে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি একটা ভয়ঙ্কার পরিণতির দিকে যাচ্ছে। এই অবস্থা থেকে উত্তোরণের পথ এবং তা জনগণকে জানিয়ে দেওয়া রাষ্ট্র বিজ্ঞানী হিসেবে কর্তব্য মনে করছি। তিনি বলেন, আমরা জানি বাংলাদেশে এখন ভয়ঙ্কার পরিস্থিতিতে। দুটি রাজনৈতিক শক্তি আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গেছে। কিভাবে এই বিভাজনকে একটা সমঝোতায় আনা যায়।
তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার দাবিতে আন্দোলন দরকার হবে, পাশাপাশি সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে সমঝোতাও দরকার। এজন্য সব রাজনৈতিকগুলোকে নিয়ে হাউজ অব রি-প্রিজেন্টেটিভ থাকতে হবে। এই হাউজ পলিসি ঠিক করবে, সংবিধান ঠিক করবে। সেই অনুযায়ি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক তাসনীম সিদ্দিকী। তার ‘রেমিট্যান্স প্রবাহ আর প্রবাসীদের বাস্তবতায় মিল নেই’ শীর্ষক তার একটি সাক্ষাৎকার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি তলব করার পর তাসনীম সিদ্দিকী হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, তিনি একজন গবেষক। তার কাছে ব্যাখ্যা চাওয়ায় আমি উদ্বেগ প্রকাশ করছি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে ও সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া, মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদিকা হেলেন জেরিন খান, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন প্রমুখ। এই অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সিরাজউদ্দিন আহমেদ, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সিনিয়র সহ- সভাপতি মোরতাজুল করীম বাদরু, সহ-সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, সাবেক সংসদ সদস্য হালিমা নেওয়াজ আরলী, রেহানা আখতার রানু, শাম্মী আখতার, অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী, যুব বিষয়ক সহ-সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসীন আলী, বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান, দক্ষিন খান থানার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিন দেওয়ান, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা নুরুউদ্দিন নুরু প্রমুখ নেতৃবৃন্দসহ সহাস্রাধিক কর্মী উপস্থিত ছিলেন।