সরকার হটানোর আন্দোলনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান মির্জা ফখরুলের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২২ এএম, ২২ সেপ্টেম্বর,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ১২:১৯ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
‘দেশে কেউ ভালো নেই’ মন্তব্য করে সরকার হটানোর আন্দোলনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে কৃষক দলের নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দ সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের কাছে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে বাংলাদেশে কেউ ভালো নেই। আমাদের কৃষকরা সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। তারা তাদের উৎপাদিত পণ্যের মূল্য পায় না, তারা কোনো রকম সাহায্য-সহযোগিতা পায় না, এমনকি এই করোনার যে একটা ভয়াবহ সময় গেলো এই সময়েও কৃষকরা কিন্তু কোনো প্রণোদনা পায়নি। আমরা মনে করি, এদেশে যে ফ্যাসিস্ট সরকার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জবর দখল করে ক্ষমতা দখল করে আছে তাদেরকে সরানোর জন্য সকলকে ভূমিকা রাখতে হবে। আমাদের এখন দায়িত্ব হচ্ছে নিজেদেরকে সংগঠিত করে ঐক্য সৃষ্টি করা। এর কোনো বিকল্প নাই। কৃষক দলের নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানিয়ে সংগঠনটির সাবেক সভাপতি এবং বর্তমানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সম্মেলন হয়েছিলো। একটিমাত্র সংগঠন সম্মেলনের মাধ্যমে তারা তাদের যে সাংগঠনিক দায়িত্ব সেই দায়িত্ব পালন করেছে। সেই সম্মেলনের মাধ্যমে আজকে সাংগঠনিক দায়িত্ব যারা পেলেন আমি তাদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। জাতির একটা যুগ সন্ধিক্ষণে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা হলো। সুতরাং তাদের দায়িত্ব অনেক বেশি বলে বিবেচিত হবে। বিশেষ করে অতিদ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা এবং একই সঙ্গে যে মানুষগুলোকে কেন্দ্র করে এই সংগঠনটি গঠন করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সেই কৃষকদের সংগঠিত করা, তাদের মাঝে ছড়িয়ে পড়া। আমরা কৃষক দলের কাছ থেকে যেটা আশা করবো তারা অতিদ্রুত কৃষকদেরকে সংগঠিত করবে।
সরকারের দমন-পীড়নের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আমাদের দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিনি আজকে গৃহে অন্তরীণ। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তিনি আজকে মিথ্যা মামলার সাজা নিয়ে বিদেশে নির্বাসিত। আমাদের প্রায় ৩৫ লক্ষ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, ৫শ’র ওপরে মানুষকে গুম করা হয়েছে, খুন করা হয়েছে প্রায় হাজারের ওপর মানুষকে। মামলা আর মামলা- এই অবস্থার প্রেক্ষিতে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে নিজেদেরকে সংগঠিত করে ঐক্য সৃষ্টি করা।
কৃষক দলের পুরনোদের নিয়ে সংগঠন শক্তিশালী করার ওপর জোর দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি বলব, যারা অতীতে কৃষক দল করেছেন তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে যেন পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয় এবং সবাইকে নিয়ে যেন কাজ করা হয়- আপনারা সফল হবেন সেই আশা ব্যক্ত করছি। ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে সফল করতে কৃষক দল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আান্দোলনে সামনের কাতারে থাকার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন নবগঠিত কমিটির সভাপতি হাসান জাফির তুহিন। এর আগে দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের নবগঠিত কমিটির সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, সহ-সভাপতি গৌতম চক্রবর্তী, যুগ্ম সম্পাদক টিএস আইয়ুব, মোশাররফ হোসেন ও দফতর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বিএনপি মহাসচিবের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং নেতৃবৃন্দ নতুন কমিটি দেয়ার জন্য তাকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান। এ সময়ে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ছিলেন।
২২ বছর পর গত ১২ মার্চ চতুর্থ জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠান হলেও দীর্ঘ পাঁচ মাস পরে গতকাল কৃষক দলের ৭ সদস্যের আংশিক কমিটি অনুমোদন দেয় বিএনপি। সর্বশেষ ১৯৯৮ সালে গঠিত কমিটির সভাপতি ছিলেন মাহবুব আলম তারা এবং সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদু।