ছাত্র মৈত্রীর কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১০ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৩৮ এএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে ১৭ সেপ্টেম্বরকে শিক্ষা দিবস হিসাবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদানে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী সচিবালয় ঘেরাও করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়।
আজ রবিবার সচিবালেয়র ৫ নং গেটের সামনে এই বাধা দেয়ার ঘটনা ঘটে। পরে তারা সেখানেই সমাবেশ করে। ওই সমাবেশে ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি কাজী আবদুল মোতালেব জুয়েল বলেন, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দেশের ছাত্র সমাজের ন্যায্য দাবি আদায়ে লড়াই সংগ্রাম করে আসছে। করোনা অতিমারির শুরু থেকেই ছাত্র মৈত্রী বিভিন্ন সময়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি প্রধানের মাধ্যমে সরকারকে বারংবার শতভাগ শিক্ষার্থীকে করোনা টিকা নিশ্চিত করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে ক্লাস-পরীক্ষা নেয়ার দাবি জানিয়েছিলাম। গত ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল-কলেজগুলো খুলে দেয়া হলেও এখনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে তাদের শিক্ষাজীবনে নেমে এসেছে দুই বছরের সেশনজট। আমরা এর অবসান চেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, গত বছরের শুরুতে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালুর উদ্যোগ নেয়া হলে আমরা সে সময় বলেছিলাম, সকল শিক্ষার্থীকে প্রযুক্তি সহায়তা ও বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করা না হলে শতভাগ শিক্ষার্থীরা এই অনলাইন ক্লাসের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে এবং হয়েছেও তাই। দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী এই অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। উপরন্তু তাদের কাছ থেকে বেতন-সেমিস্টার ফি একরকম জোর করে আদায় করেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। আমরা শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম ৫০ শতাংশ বেতন-সেমিস্টার ফি মওকুফ করার দাবি নিয়ে সচিবালয়ের সামনে গিয়েছি। আমরা করোনাকালে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতার কারণে শিক্ষাজীবন থেকে দুবছর ঝরে যাওয়ার সরাসরি প্রভাব পড়বে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন শেষে যখন তারা কর্মজীবনে প্রবেশ করতে যাবে। করোনাকালীন এই সময়ে শতভাগ শিক্ষার্থীই এই ক্ষতির সম্মুখিন হবে। আমরা সবার জন্য চাকরিতে আবেদনের বয়স বৃদ্ধির দাবি নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশি এই হামলা, মূলত দেশের প্রায় ৪ কোটি শিক্ষার্থীর স্বার্থকে হামলা করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই চালিয়ে যাব। অপরাপর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল ছাত্র সংগঠনকে আহ্বান করবো, ন্যায্য দাবি আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যুগপৎ আন্দোলনে আসার। সমাবেশ থেকে দাবি করা হয়, পুলিশের হামলায় কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি রাশেদ খান, ইয়াতুন্নেসা রুমা, সাংগঠনিক সম্পাদক অদিতি আদৃতা সৃষ্টি, সাহিত্য, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক সুমাইয়া পারভীন ঝরা, ঢাকা মহানগর নেতা মালা আক্তার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্র মৈত্রীর সাংগঠনিক সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ আহত হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার পেট্রল ইন্সপেক্টর শেখ বাশার বলেন, ওই ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে কোনো হাতাহাতি হয়নি। পুলিশ কোনো হামলাও করেনি। ওরা নিজেরাই ব্যারিকেড সরাতে গিয়ে আহত হয়েছে। এখন বলছে পুলিশ হামলা করেছে। এটা সত্য নয়।