প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বিএনপি
স্বৈরাচার হটাও মানুষ বাঁচাও
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪৪ এএম, ৩ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:৪৬ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ‘গণঅভ্যুত্থান’ গড়ে তোলার ডাক দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে দলের প্রতিষ্ঠবার্ষিকীর উন্মুক্ত আলোচনা সভায় তিনি এই ঘোষণা দিয়ে নেতা-কর্মীদের প্রস্তুতি নেয়ার আহবান জানিয়েছেন। জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিএনপির ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই উন্মুক্ত আলোচনা সভা হয়। মিলনায়তনের বাইরেও শত শত নেতা-কর্মীর সরব উপস্থিতি দেখা গেছে। পবিত্র কোরআন তেলোয়াত ও দোয়া অনুষ্ঠানের পর জাতীয় সঙ্গীত ও দলীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে এই আলোচনা সভা শুরু হয়। ৪৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে মিলনায়তন ও আশপাশে জাতীয় ও দলীয় পতাকা, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতিকৃতি দিয়ে বর্ণিলভাবে সাজানো হয়। ‘শুভ শুভ শুভ দিন, বিএনপির জন্মদিন’, বাংলাদেশের অপর নাম জিয়াউর রহমান’, ‘খালেদা জিয়ার সংগ্রাম চলছে, চলবে’ ‘তারেক রহমানের সংগ্রাম চলছে, চলবে’ ইত্যাদি শ্লোগানে নেতা-কর্মীরা তাদের সরব উপস্থিতি জানান দেয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে বক্তব্য রাখেন যা বড় ডিজিটাল পর্দায় দেখানো হয়। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর রমনা বটমূলে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে আমাদের দায়িত্ব বিএনপির নেতা হিসেবে, কর্মী হিসেবে দেশের সমস্ত মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। সমস্ত গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে আজকে আমাদেরকে অবশ্যই এই যুদ্ধে জয়লাভ করতে হবে এবং এই স্বৈরাচারী, এই হাসিনার সরকারকে পরাজিত করে আমাদেরকে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে, আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। আসুন আমরা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে এবং এই দেশে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলি, গণঅভ্যুত্থান গড়ে তুলি। যার মাধ্যমে পরাজিত হবে এই স্বৈরাচারী, একনায়ক কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী লীগের সরকার এবং জনগণের বিজয় হবে।
তিনি বলেন, বিএনপির ইতিহাস হচ্ছে এই দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস, ৪৩ বছরের ইতিহাস হচ্ছে এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ইতিহাস, বিএনপির ইতিহাস হচ্ছে এই দেশে সত্যিকার অর্থে এই রাষ্ট্র ও এই জাতিকে একটা অস্তিত্ব প্রদানের ইতিহাস। আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আমাদেরকে একটা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করেছিলেন, তিনি যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন, পরবর্তীকালে তাঁকে যখন রাষ্ট্র নির্মাণের দায়িত্ব দেয় তখন তিনি আমাদের বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, জাতিকে নির্মাণ করার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, তিনি আমাদেরকে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শন দিয়ে আমাদের নিজেদের অস্তিত্বকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন যে, আমরা একটা স্বাধীন জাতি। এই ভূখন্ডে সেটাই হচ্ছে জিয়াউর রহমান ও বিএনপির সবচেয়ে বড় অবদান।
তিনি বলেন, আমাদের আওয়ামী লীগের বন্ধুরা সার্বক্ষণিকভাবে সারাক্ষণ বিএনপির বিরুদ্ধে বিষোদগার করে, আমাদের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে খাটো করার চেষ্টা করে, আমাদের আপসহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে খাটো করার চেষ্টা করে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে খাটো করার চেষ্টা করে, বিএনপিকে খাটো করার চেষ্টা করে। তারা (আওয়ামী লীগ) যদি নিজেদেরকে একবার জিজ্ঞাসা করার চেষ্টা করে যে, তাদের অবদান কি এদেশের জন্য? তাদের অবদান হচ্ছে পাকিস্তানিদের কাছে আত্মসমর্পণ, তাদের অবদান ভারতে পালিয়ে গিয়ে নেতা সাজা, নিজেদের মনে করে যে, তারাই এদেশে স্বাধীনতা নিয়ে এসেছে, তাদের অবদান গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়ে ১৯৭৫ সালে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার করা, তারা সেদিন দেশকে জাতিকে বাংলাদেশের আত্মাকে নিহত করেছিলো। আমরা ভুলে যাইনি ’৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের কথা। আওয়ামী লীগের ইতিহাস এদেশের আত্মাকে বিক্রি করবার ইতিহাস, আওয়ামী লীগের ইতিহাস এদেশের মানুষের আকাক্সক্ষা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করবার ইতিহাস।
মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা থেকে শুরু করে আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে জিয়াউর রহমানের ভূমিকার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আজকে আওয়ামী লীগ যা শুরু করেছে কেনো করছে? তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়, প্রকৃত ইতিহাস থেকে জনগণকে সরিয়ে দিয়ে তারা মিথ্যা ইতিহাস প্রতিষ্ঠা করতে চায়। সেজন্য গোয়েবলসীয় কায়দায় মিথ্যা শুধু বার বার বলতেই থাকে। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হবে না। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক। তিনি এদেশের মানুষের হৃদয়ের মধ্যে আছেন। তিনি তাঁর কাজের মধ্য দিয়ে, এদেশে তিনি প্রাণ উৎসর্গ করার মধ্য দিয়ে এদেশের মানুষের কাছে তাঁর স্মৃতি পুরোপুরি প্রথিত হয়ে আছে। শহীদ জিয়াউর রহমানকে ইতিহাস ধারণ করেছে। এই দেশের ধান ক্ষেতে, পথে-প্রান্তরে শহীদ জিয়া আজকে চিরজাগ্রত হয়ে আছেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ‘মিথ্যা মামলায়’ সাজা দিয়ে সরকার আটক করে রেখেছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সেই নেত্রীও এদেশে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের পতাকা যেদিন হাতে তুলে নিয়েছিলেন জিয়াউর রহমানের শাহাদাতের পরে সেদিনও অনেক মনে করেছিলো যে, বিএনপি বোধ হয় শেষ, বিএনপি ধ্বংস, আর বিএনপি জেগে উঠবে না। কিন্তু বিএনপি ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠেছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে। ৯ বছর তিনি পথে-প্রান্তরে চারণ কবির মতো গণতন্ত্রের গান গেয়েছেন, দেশকে মুক্ত করেছেন এবং আজকেও এই গণতন্ত্রের জন্য তাঁর সমস্ত সুখ-আয়েশ ত্যাগ করে, আত্মীয়-স্বজন ত্যাগ করে তিনি গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য কারা অন্তরীণ হয়ে আছেন। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মিথ্যা মামলা মাথায় নিয়ে বিদেশে নির্বাসিত হয়ে আছেন। সেখান থেকে তিনি চেষ্টা করছেন। আজকের সমাবেশই প্রমাণ করে তাঁর এই চেষ্টা সফল হচ্ছে। ইনশাল্লাহ সমস্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা সম্ভব হবে।
সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, মিথ্যাচার করে গোয়েবলসীয় কায়দায় সত্যকে মিথ্যা প্রমাণ করে কোনো লাভ হবে না। আর মানুষের অধিকার দাবিয়ে রেখেও কোনো লাভ হবে না। এই সরকার বাংলাদেশের ইতিহাসকে বিকৃত করেছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে তারা কলঙ্কিত করেছে, বাংলাদেশের মানুষের যে আশা-আকাক্সক্ষা গণতন্ত্রকে তারা হত্যা করেছে। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্যে আজকে তারা কাজ করছে।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমাদের লক্ষ্য একটি- এই স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ভবিষ্যতে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা এবং আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে এসে রাজনীতি করার ক্ষেত্র প্রস্তুত করে দেয়া। সেজন্য আমাদের শ্লোগান হোক, অঙ্গীকার হোক, শপথ হোক- ‘স্বৈরাচার হটাও, দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও।’
স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ওরা নিজেদের সকল ব্যর্থতাকে চাপা দেয়ার জন্য অত্যন্ত হৃদয় স্পর্শ করা একটা ইস্যুকে তারা সামনে এনে আমাদেরকে ব্যস্ত রাখতে চায়। হ্যাঁ, এটার আমরা জবাব দেবো। তবে প্রকৃষ্ট জবাব হলো এই সরকারের পতন ঘটিয়ে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান। একটা ইস্যুতে থাকি, এককথায় থাকি- আজকে থেকে সকল সমস্যার সমাধান শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে পরিত্রাণ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশ্যে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, এতো কথা বলেন কেনো? প্রত্যেকটা বীর জাতীয়তাবাদী দল করে। এটা রাজাকারের দল নয়, আপনার দল এখন রাজাকার আল-বদরের। আমরা যাদের ভোট চোরের সরকার বলি তারা আজ কয়েকদিন যাবত দলবদ্ধভাবে কিছু কথাবার্তা বলছেন। আমি বলবো ওরা (আওয়ামী লীগ) দীর্ঘ ১২ বছর কখনো পাপিয়া, কখনো পরীমনি একেক সময় একেকটা ইস্যু দাঁড় করায়। এখন আমাদের মনে হয় গণতান্ত্রিক শক্তির পক্ষ থেকে, জাতীয়তাবাদী শক্তির পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে একটা ইস্যু দেয়া দরকার। সেই ইস্যু হলো জনগণের দাবি এক, শেখ হাসিনার পদত্যাগ। এর বিকল্প কিছু নেই।
তিনি বলেন, সংগ্রাম-আন্দোলনে আমাদের ভূমিকা, আমরা জেল-জুলুম অত্যাচারের শিকার, আমরা অনেক ত্যাগ শিকার করেছি, কিন্তু চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে যদি ব্যর্থ হই তাহলে সব কাজই কিন্তু বৃথা। আর ইতিহাস যারা বিকৃত করতে চায় তাদের বিকৃতকরণ এবং তাদেরকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থেকে তাড়ানো ছাড়া বিকল্প কোনো পথ আমাদের জন্য অবশিষ্ট নেই। জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করেন নাই, আজকের যিনি প্রধানমন্ত্রী তিনি যুদ্ধ করেছেন। তিনি ৯ মাস না, ১০ মাস যুদ্ধ করেছেন। এই দশ মাসের ফসলই। তবুও দোয়া করি ভালো থাকেন, সুস্থ থাকেন। আরো দোয়া করি, শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করি। আপনাকেতো দেখতে হবে আপনি কি কি করিয়েছেন। মানুষকে অকারণে ব্যথা দিলে কতটা ব্যথা লাগে সেটা আপনার উপভোগ করা প্রয়োজন। গয়েশ্বর বলেন, যারা বলে জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করেন নাই তারাই যুদ্ধাপরাধী, যারা বলে জিয়াউর রহমান গুলি করেন নাই তারাই যুদ্ধাপরাধী, তারাই স্বাধীনতাকে স্বীকার করে না। যদি স্বাধীনতাকে স্বীকার করতে হয় তাহলে জিয়াউর রহমানকে অস্বীকার করে হয় না।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, স্লোগান যথেষ্ট নয় এই সরকার পতনের জন্য। তার পরে তো ঘরে বসে নয়। প্রস্তুত হন। জবাব আমাদেরকে একটা একটা করে দিতে হবে। আমরা আর শেখ হাসিনার কোনো ইস্যুতে পা দেব না। আমাদেরকে শেখ হাসিনা ইস্যু দেবে। ইস্যু এক শেখ হাসিনার পদত্যাগ। আবার আগের মতো সেøাগান দেব, এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের মতো, এক দফা এক দাবি, হাসিনা তুই কবে যাবি। আমাদের সেই অভিজ্ঞতা আছে। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে যদি আমাদের কর্মীদের এক করতে পারি। যে দলের কর্মীরা মরতে প্রস্তুত সেই দলের ভয় কিসের।
মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হকসহ কয়েকজন মন্ত্রীর বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার, দলের ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর শাহজাহান ওমর বীরোত্তম বলেন, কয়েকজন মন্ত্রী ইদানিং বলা শুরু করেছে জিয়াউর রহমান সাহেব যে মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন তার প্রমাণ দিতে হবে। আরে ব্লাডি ফুল তুমি কে? তুমি কি মুক্তিযোদ্ধা? ইউ হেভ বিন এ বিগ বডি রাজাকার। এই প্রশ্ন করার তুমি কে? আসলে জিনিসটা কি জানেন? সবাই জিয়াউর রহমানকে ভয় পায়। শেখ হাসিনা ঘুমাইতে পারে না, আওয়ামী লীগ ঘুমাইতে পারে না। দরজা-জানালা সব আটকিয়ে ঘুমায়। কারণ কী জানেন? কখন জিয়ার প্রেতাত্মা বোধহয় ঘুম থেকে উঠে মেরে ফেলে-এই ভয়ে দরজা-জানালা সব লকআউট করে তারপরে ঘুমায়। আর সারা রাত স্বপ্ন দেখে- হ্যায় জিয়া এই আসলো, এই এলো, এই আর্মি, এই জিয়া।
জিয়া উদ্যানে জিয়াউর রহমানের লাশ নেই-প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে জেড ফোর্সের সদস্য বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেন, লে. কর্ণেল জয়নুল আবেদীনের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে জিয়াউর রহমানের লাশকে কবরে (জিয়া উদ্যান) নামানো হয়েছে। জয়নুল নিজেও কবরে নেমেছিলেন। অথচ তারা বলে যে, কবরে লাশ নেই। কবরের পাশে তিনি (শেখ হাসিনা) বসবাস করে আতঙ্কিত হয়ে গেছেন। আজকে যত মানুষ এখানে জড়ো হয়েছে আপনারা যদি রাস্তায় একটা মিছিল করতে পারেন তাহলে কিন্তু তাদের পলায়ন শুরু হয়ে যাবে। একবার সাহস করে রাস্তায় নামেন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে তারা (আওয়ামী লীগ) বারংবার বিকৃত করেছে। রাজপথে সংগ্রাম ছাড়া এই অনির্বাচিত প্রতিবেশী রাষ্ট্রের আশ্রিত সরকারকে সরানো যাবে না। আসুন, আমরা সবাই মিলে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করি। মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমান জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন, যারা অধিনায়ক হন তারা যুদ্ধ পরিচালনা করেন তারা গুলি ছোড়েন না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাব দেন মেজর হাফিজ।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহিদউদ্দিন চৌধুরী ও সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলীমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান ও আবদুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন প্রমুখ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, শহীদুল ইসলাম বাবুল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আকরামুল হাসান, অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত মেজর আক্তারুজ্জামান, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, সহ- সভাপতি এসএস জাহাঙ্গীর হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদিকা হেলেন জেরিন খান, ওলামা দলের আহবায়ক শাহ নেসারুল হক, মৎসজীবী দলের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম মাহতাব, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের আহবায়ক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, সদস্য সচিব মোস্তফা জগলুল পাশা পাপেল, দারুস সালাম থানা বিএনপি নেতা এস এ সিদ্দিক সাজু, শাহ আলী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবির রওশন, মিরপুর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী দেলোয়ার হোসেন দুলু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমানের এনা, দারুস সালাম থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরিফ মৃধা, সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, প্রচার সম্পাদক বেপারি মোঃ মোস্তফা, ১০ নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দীক মাকসুদ, মিরপুর থানা কৃষক দলের সভাপতি এস,এম, মিরাজ ইমন, ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলে সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম মামুন, যুগ্ম আহবায়ক আমিনুর রহমান শান্ত, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি রাজীব আহমেদ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল রহমান, সরকারি বাঙলা কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মোহাম্মদ আইয়ুব, দারুস সালাম থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনির, শাহ আলী থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান দেওয়ান, মিরপুর থানা যুবদলের সভাপতি আবু রসেল চৌধুরি মিঠু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার শাহেদ রনি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজালাল সম্রাট, মিরপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোঃ ফিরোজ আহম্মেদ, সদস্য সচিব এস,এম, রুস্তম আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল আহম্মেদ স্বপন, কে,এম, ইয়াহিয়া সামী, দারুসসালাম থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের মোঃ ইকবাল মাহমুদ রিপন, ছাত্রদল নেতা মোঃ রায়হান ইসলাম, আকিব আহম্মেদ অভিসহ হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।