জামালপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে সংগ্রাম করতে হবে - ওয়ারেছ আলী মামুন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৮ পিএম, ১ সেপ্টেম্বর,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০১:১৯ পিএম, ৯ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন বলেছেন, স্বাধীনতার অপর নাম শহীদ জিয়াউর রহমান। ২৫ মার্চের কালোরাতে পাকবাহিনীর বর্বর গণহত্যার পর শেখ মুজিবুর রহমানসহ অনেক নেতা বন্দি ছিলেন। শেখ মুজিবুর রহমান একজন বিচক্ষণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হয়েও পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর শোষণ নির্যাতনের বিরুদ্ধে কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারেননি। কিন্তু শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি না হয়েও একাত্তরে জাতির ক্রান্তিলগ্নে এ দেশের মুক্তিকামী মানুষের কথা ভেবে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ঘোষণা দিয়েই বসে থাকেননি। তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন মেজর হয়েও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে বিদ্রোহ করে সমমনা সেনাবাহিনী নিয়ে বেরিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বের জন্য তিনি বীর উত্তম উপাধি পান।
আজ বুধবার দুপুরে শহরের রানী কমিউনিটি সেন্টারে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মামুন আরো বলেন, দেশের মানুষ আজ সরকারী দলের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। যার কারনে সাধারণ মানুষ তাদের গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার হারিয়ে ফেলেছে। বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা নেই, সাধারণ মানুষের স্বাধীনতা নেই, বাংলাদেশের মানুষের গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন-সংগ্রাম ছাড়া বিকল্প কোন রাস্তা নেই। তিনি আগামী দিনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সেই আন্দোলনে শরিক হওয়ার আহ্বান জানান।
জামালপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সফিউর রহমান সফির সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদুল হক খান দুলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান আহমেদ খান লোটন, শফিকুল ইসলাম খান সজিব ও সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব রুহুল আমিন মিলন, শহর বিএনপির সদস্য সচিব শাহ মাসুদ প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, সরকার বিএনপি নেতাদের জুলুম-নির্যাতন করেও ক্ষান্ত হয়নি। তারা এখন বিএনপিকে সভা-সেমিনার করতেও বাঁধা দিচ্ছেন। নেতাকর্মীদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে পুলিশি হয়রানিসহ হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। কিন্তু শত নির্যাতন করেও বিএনপিকে ধাবাইয়ে রাখা যাবে না। আগামী দিনে সরকার পতনের আন্দোলনে সকল নেতৃবৃন্দদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে থাকার আহবান জানান বক্তারা।
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর সভায় বিএনপিসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেয়।