ইসিতে আয় ব্যয়ের হিসাব দিলো বিএনপি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১৬ পিএম, ২৬ আগস্ট,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:৫৫ পিএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ২০২০ অর্থবছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্সের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল ২০২০ অর্থবছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব ইসিতে জমা দেন।
বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ও দফতরের চলতি দায়িত্বে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিব হুমায়ন কবির খোন্দকার এর হাতে বিএনপি’র আয়-ব্যয়ের প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।
২০২০ সালে বিএনপি’র মোট আয়-১,২২,৫৩,১৪৯ টাকা (পদধারী ও সদস্যদের মাসিক চাঁদা, বিভিন্ন নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম, বিভিন্ন ব্যক্তিদের অনুদান ও ব্যাংক সুদ হতে প্রাপ্ত) এবং ব্যয়- ১,৭৪,৫২,৫১৩ টাকা (কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-বোনাস, বিভিন্ন বিল, অফিসিয়াল খরচ, ক্রোড়পত্র, পোস্টার ছাপানো, ত্রাণ, সাহায্য ইত্যাদি বাবদ খরচ)। ঘাটতি- ৫১,৯৯,৩৬৪ টাকা (ব্যাংকে গচ্ছিত তহবিল থেকে ঘাটতি মেটানো হয়)।
পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ এমরান সাহে প্রিন্স বলেন, অবাধ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব, কিন্তু গত ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনসহ অন্যান্য উপ-নির্বাচন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে যে, বর্তমান সরকার এবং তাদের অনুগত নির্বাচন কমিশন এ সকল নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে করতে ব্যর্থ হয়েছে।
বর্তমান সরকার ও তাদের অনুগত নির্বাচন কমিশনের পক্ষে আর সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব নয়। তাই জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগ এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এর মাধ্যমে সকলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করে নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার ও সংসদ গঠন করতে নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের বিকল্প নাই।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশন নির্বাচন প্রক্রিয়া ধ্বংস করে দিয়েছে। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে বিএনপি বিভিন্ন নির্বাচন বর্জন করছে। জনগণেরও এ সকল নির্বাচনের বিষয়ে কোন আগ্রহ নাই, তারাও বর্জন করছে। এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধিনে নির্বাচন দেশে-বিদেশে কোথাও বিশ্বাযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা পায় নাই। জনগণ নির্বাচন বিমুখ হয়ে যাচ্ছে। তাই এই নির্বাচন কমিশন আগামী ডিসেম্বরের আগে তাড়াহুড়ো করে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার যে উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে তা দুরভিসন্ধিমূলক ও এতে জনগণের কোন আগ্রহ নেই।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে জনগণের জীবন রক্ষাই যখন একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিৎ, সেখানে করোনার মধ্যে নির্বাচনের নামে জনগণকে সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঝুঁকিতে ফেলে দেয়া কোন দায়িত্বশীলতার কাজ নয়।