সিআরবি ইস্যুতে আ'লীগের এমপি-মন্ত্রীদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ- ডা. শাহাদাত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১২ পিএম, ২৫ আগস্ট,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৫৬ পিএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণ নিয়ে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করছেন চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষ। কিন্তু চট্টগ্রামের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ও যারা মন্ত্রী পরিষদে আছে, তাদের ভূমিকা এখনো স্পষ্ট হয়নি। দুই মাস অতিবাহিত হলেও সরকারদলের এসব নেতার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা এটাই প্রমাণ করে তারা নৈতিকভাবে হাসপাতালের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। যারা সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণের পক্ষ অবলম্বন করবে তাদের চট্টগ্রাম ও প্রকৃতির শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। সিআরবি রক্ষায় বীর চট্টলার সকল জনগণকে নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে হাসপাতাল নির্মাণ ঠেকানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
আজ বুধবার (২৫ আগস্ট) তিনি চট্টগ্রামের ফুসফুস খ্যাত সিআরবি’র পরিবেশ ধ্বংস করে বেসরকারী হাসপাতাল নির্মানের প্রতিবাদে সিআরবির সাত রাস্তার মোড়ে চট্টগ্রাম মহানগর জাসাসের প্রতিবাদী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আবহাওয়া ও জলবায়ুর ভারসাম্য রক্ষায় বনায়নের গুরুত্ব অপরিসীম। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশে ব্যাপকভাবে গাছ লাগানো কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। কিন্তু বর্তমান সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসার পর থেকে সারাদেশে অবাধ ও নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন চলছে। ইতিমধ্যে চট্টগ্রামের আউটার স্টেডিয়াম, শহীদ জিয়ার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত বিপ্লব উদ্যান, পাঁচলাইশ জাতিসংঘ পার্ক উন্নয়নের নামে শেষ করে দিয়েছে।
এবার এলিভেটেট এক্সপ্রেসওয়ে’র নামে টাইগার পাসের সৌন্দর্য এবং হাসপাতালের নাম দিয়ে সিআরবি ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে। নির্বিচারে বৃক্ষ নিধনের ফলে নানা ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটছে। পরিবেশ বিপর্যয়ের জন্য আজ প্রতিদিন বজ্রপাতে মানুষ মারা যাচ্ছে। তাই চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কেন্দ্রভূমি সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মানের সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর জাসাসের সভাপতি কণ্ঠশিল্পী আব্দুল মান্নান রানার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ শিপনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি'র সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সদস্য মো. কামরুল ইসলাম, মো. ইদ্রিস আলী, জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এম.এ মুসা বাবলু, সহ গবেষণা সম্পাদক নাজমা সাঈদ, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, চবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, জাসাস মহানগরের সি. সহ-সভাপতি দোস্ত মোহাম্মদ, সহ সভাপতি, শেখ জামিল হোসেন, সৈয়দ জিয়াউদ্দীন, লায়ন আবদুল মান্নান, মেহেদী হাসান, মো. বেলাল, ফরিদুল আলম মিল্লাত, যুগ্ম সম্পাদক জাহেদ কায়সার, নাজিম উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম, দপ্তর সম্পাদক মহিউদ্দিন জুয়েল, প্রচার সম্পাদক এস এম তারেক, বিএনপি নেতা সাব্বির আহমেদ, হাজ্বী মো. নিজাম, নগর যুবদলের সহসম্পাদক আসাদুর রহমান টিপু, কিং মোতালেব, ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি এন মো. রিমন, যুগ্ম আহবায়ক সামিয়াত আমিন জিসান, আলাউদ্দিন আলো, শফিউল আলম শফি, মো. ইয়াসিন, মো. মামুন, বোরহানুল হক, শরিফুল ইসলাম আবীর, জাসাসের গোলাম মো. শরিফ, খায়রুল বারী আইরিশ, রিপন ভান্ডারী, আবদুল হান্নান শিবলী, রাজ সাগর, নিগার সোহা, নাহিদা আলম, উর্মি প্রমূখ।