ফরিদপুরের ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৮ জন কারাগারে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৪৮ এএম, ২৫ আগস্ট,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ১১:২৩ এএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার চাঞ্চল্যকর মো. শাহজাহান হত্যা মামলার অন্যতম আসামী উপজেলার রামনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস ফকিরসহ ৮ জনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুরের চার নম্বর আমলী আদালতের বিচারক আসিফ আকরাম আসামিদের জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।
জানা গেছে, নগরকান্দা উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান (৪৫)কে স্থানীয় রাজনৈতিক বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন বিগত ২০১৭ সালের ২২ ফেব্রæয়ারি রাতে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে খুন করে একটি জমিতে ফেলে রেখে যায়। পরদিন শাহজাহানের গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। মো. শাহজাহান মিয়া রামনগর ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে নগরকান্দা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলাটির তদন্ত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ২ ফেব্রæয়ারি এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি’র উপ-পরিচালক মো. এমদাদুল রামনগর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস ফকিরসহ ১৫ জনকে আসামী করে আদালতে এ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে।
প্রসঙ্গত রামনগর ইউনিয়নের গত ইউপি নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য কাইমুদ্দিন মন্ডলকে হারিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস ফকির। শাহজাহান কুদ্দুসের প্রতিবেশী হওয়া সত্তে¡ও ওই নির্বাচনে কাইমুদ্দিন মন্ডলকে সমর্থন করেন। এতে শাহজাহানের উপর ক্ষুব্ধ ছিল কুদ্দুস ফকির। এ মামলার আসামী ইউপি চেয়ারম্যান কুদ্দুস ফকির (৬২)সহ আটজন মঙ্গলবার ফরিদপুরের চার নম্বর আমলী আদালতের হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। অন্য আসামিরা হলেন, আক্কাস ফকির (৪৬), জাকির ফকির (৩২), কামাল ফকির (৩৫), দেলোয়ার ফকির (৪০), সালাম সিকদার (৬০), জোহরউদ্দিন সিকদার (৫০) ও বাবলু মোল্লা (৩৫)।
নগরকান্দা আদালতের জেনারেল রেজিস্ট্রার কর্মকর্তা (জিআরও) আব্দুল মজিদ বলেন, কুদ্দুস ফকিরসহ আটজন আসামির জামিনের আবেদন আদালত নাকচ করে দিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। এ মামলার বাকি সাত আসামী পলাতক রয়েছে।