কাজী আরেফ হত্যা মামলার ফাঁসির আসামি গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:২৫ পিএম, ১৯ আগস্ট,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:৫৭ এএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক কাজী আরেফ আহমেদসহ দলটির পাঁচ নেতাকে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি রওশন আলী ওরফে উদয় মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) র্যাব সদর দপ্তরের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক (এএসপি) আ ন ম ইমরান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আজ রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।’
র্যাব সূত্র জানায়, রওশন আলীকে গতকাল বুধবার রাতে রাজশাহী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের কালিদাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সন্ত্রাসবিরোধী এক জনসভা চলছিল। এ সময় একদল সন্ত্রাসী গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই নিহত হন কাজী আরেফ আহমেদ, তৎকালীন জেলা জাসদের সভাপতি লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী, স্থানীয় জাসদ নেতা ইসরায়েল হোসেন ও শমসের মণ্ডল। ওই দিনই পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের সাড়ে পাঁচ বছর পর ২০০৪ সালের ৩০ আগস্ট কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালত ১০ আসামির ফাঁসি ও ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষ আপিল করলে ২০০৮ সালের ৫ আগস্ট হাইকোর্ট নয়জনের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন। একজনকে খালাস দেন। ১২ জনের সাজা মওকুফ করেন।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ফাঁসির দণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিদের দুজন রাশেদুল ইসলাম ও আনোয়ার হোসেন আপিল করেন। পরে ২০১১ সালের ৭ আগস্ট ফাঁসির দণ্ডাদেশ পাওয়া নয়জনের সাজা বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর রিভিউ আবেদনও খারিজ করেন সর্বোচ্চ আদালত। পরে তাঁরা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন। সেই আবেদনও নাকচ হয়। ২০১৬ সালে ৮ জানুয়ারি তিনজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। তাঁরা হলেন কুষ্টিয়ার মিরপুরের রাজনগর গ্রামের হাবিবুর রহমান, কুর্শা গ্রামের আনোয়ার হোসেন ও রাশেদুল ইসলাম।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নয়জনের মধ্যে বর্তমানে চারজন পলাতক। একজন কারাগারে থাকা অবস্থায় মারা গেছেন। আরেকজন গতকাল ধরা পড়লেন।