পুলিশ গুলি করে দমন করতে চায় - মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২৮ এএম, ১৮ আগস্ট,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০২:২৭ পিএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
রাজধানীর জিয়া উদ্যানে বিএনপির শান্তিপূর্ণ একটা কর্মসূচিতে পুলিশ গুলি করে, লাঠিপেটা করে অসংখ্য নেতাকর্মীকে আহত করেছে বলে দাবি করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম।
আজ বেলা ১১টার দিকে বিএনপির নবগঠিত ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের কমিটির নেতাদের নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে জিয়া উদ্যানে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর কর্মসূচি ছিল। এ উপলক্ষে সকাল ১০টার পর থেকেই উদ্যানের আশপাশে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী জড়ো হতে থাকেন। বেলা পৌনে ১১টার দিকে সেখানে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশের রাবার বুলেট ও লাঠিপেটায় অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে বিএনপির নেতারা দাবি করেন।
হট্টগোলের মধ্যে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়েছেন এমন অভিযোগের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। শান্তিপূর্ণ একটা কর্মসূচি, নেতাকর্মীরা ফুল দিতে এসেছে এবং জিয়ারত করবে, সেখানে উসকানির তো প্রশ্নই উঠতে পারে না। তিনি বলেন, নেতাকর্মীরা শত বাধা উপেক্ষা করে আজ এখানে উপস্থিত হয়েছেন, শেষ পর্যন্ত জিয়ারত করেছেন এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন। এ সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই, তারা সম্পূর্ণ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ জন্যই তারা পুলিশ দিয়ে নির্যাতন করে, গুলি করে, লাঠিপেটা করে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমন করে রাখতে চায়। মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ সরকারকে পরাজিত করা সম্ভব হবে এবং আমাদের ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ কমিটি সেই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবে। এ প্রত্যাশা আমরা করি। আমরা আবারও সরকার ও পুলিশের এহেন নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
সংঘর্ষ শেষ হওয়ার পর মির্জা ফখরুল ইসলাম উদ্যানে জিয়াউর রহমানে মাজারে যান। বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে এরপর তিনি নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ঢাকা মহানগর বিএনপি উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, ঢাকা মহানগর বিএনপি দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ^াস, ঢাকা মহানগর বিএনপি উত্তরের সদস্যসচিব আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর বিএনপি দক্ষিণের সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু, বিএনপির স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, সিনিয়র সহ- সভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরুসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।