ফেনীতে যুবলীগ নেতাকে মারধর, মৃত ভেবে পুকুরে ফেলে দিলেন আওয়ামী লীগ নেতা!
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫১ এএম, ৩১ জুলাই,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:৫৬ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
ফেনীর দাগনভূঞায় যুবলীগের এক নেতাকে মারধরের পর মৃত ভেবে পুকুরে ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক আওয়ামী লীগ নেতা ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। গত বুধবার রাতে উপজেলার বাদামতলী আবাসন প্রকল্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ওই যুবলীগ নেতার নাম আবুল বাশার (৩৫)। তিনি উপজেলার ইয়াকুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। মারধরের শিকার যুবলীগ নেতার অভিযোগ, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা আহাম্মদ উল্যাহ কয়েকজন সন্ত্রাসী এনে তাকে বেদম পিটিয়ে মৃত ভেবে পুকুরে ফেলে যায়।
বাশারের স্ত্রী ফেরদৌস আরা ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের ইউপি সদস্য। তিনি জানান, গত বুধবার ১১টার দিকে বাশার বাসার ছাদে মুরগির খামারে পানি দিতে যায়। এর কিছুক্ষণ পর গুলির শব্দে তার ঘুম ভেঙে গেলে স্বামীকে দেখতে না পেয়ে খুঁজতে বের হন। এক পর্যায়ে বাড়ির সামনে পুকুর পাড়ে আহতাবস্থায় তাকে দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে স্থানীয়রা এসে দাগনভূঞা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
বাশার জানান, আহাম্মদ উল্যাহ ও তার সহযোগী মানিকসহ ৬-৭ জন সন্ত্রাসী মুখে কাপড় বেঁধে তাকে পিটিয়ে মৃত ভেবে পুকুরে ফেলে যায়। এ সময় তারা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে এলাকায় ভীতির সৃষ্টি করে। তারা চলে গেলে তিনি কোনোমতে পুকুর থেকে ওপরে উঠে আসেন।
তিনি আরও জানান, স্থানীয় ইউপি সদস্য আহাম্মদ উল্যাহ উপজেলা ও ইউনিয়নের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সম্পর্কে কটূক্তি করেন। বিষয়টি প্রমাণের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদে তাদের ডেকে নেন। বিষয়টি নিয়ে তার বক্তব্য দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে আহাম্মদ উল্যাহ মেম্বার ৬-৭ জন সন্ত্রাসী নিয়ে তাকে পিটিয়ে জখম করে মৃত ভেবে ফেলে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে অভিযুক্ত আহাম্মদ উল্যাহ মেম্বার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আবুল ফোরকান বুলবুল বলেন, বাশার হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। আহম্মদ উল্যাহ মেম্বার তাকে অবহিত করেছেন যে, এ ঘটনায় তার সংশ্লিষ্টতা নেই।
দাগনভূঞা থানার ওসি ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, বৃহস্পতিবার রাতে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত চলছে। সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।