কোম্পানীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলার অভিযোগ,আহত ৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১৮ পিএম, ৪ জুলাই,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ১১:০০ এএম, ২ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আ'লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিবদমান দ্বন্দ্বের জের ধরে চর এলাহী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় চেয়ারম্যানের পরিবারের অন্তত ৫ জন সদস্য আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৪টি ককটেল , ৩টি চকলেট বাজি ও ১ রাউন্ড ব্যবহৃত কার্তুজ উদ্ধার করে।
গতকাল শনিবার (৩ জুলাই)দিবারাতে উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চরএলাহী গ্রামের রাজ্জাক চেয়ারম্যানের বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলো, চেয়ারম্যানের স্ত্রী বিবি রহিমা খাতুন (৩৬), ছেলে মো.রাজীব (২২), চেয়ারম্যানের বোন পারুল আক্তার (৪০), জয়গুণ বিবি (৫০), ভাতিজা ইমরান হোসেন (২৮)।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাইফুদ্দিন আনোয়ার ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক অভিযোগ করে বলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আ'লীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে কাদের মির্জার অনুসারী চরএলাহী ইউনিয়ন আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গণি, হেলাল হোসেন মেম্বারের নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী আমার বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা আমার বসত ঘরের সামনের অংশ কুপিয়ে তছনছ করে দেয়। একপর্যায়ে তারা বসত ঘর লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এ সময় আমার পরিবারের ৬ সদস্য আহত হয়।
চরএলাহী ইউনিয়ন আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গণি বলেন, এটি সাজানো নাটক। যখন হামলার ঘটনা ঘটে তখন আমরা বসুরহাট বাজারে ছিলাম।
আবদুল গণি বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী এবং চরএলাহী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের অনুসারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থক হিসেবে পরিচিত।
এ বিষয়ে জানতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এঘটনা চেয়ারম্যান রাজ্জাকের সাজানো নাটক। তার কোনো লোক ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত নয়।
ঘটনাস্থলে যাওয়া কোম্পানীগন্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পুষ্প বরণ চাকমা জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৪টি ককটেল ৩টি চকলেট বাজি ও বসতঘর থেকে ব্যবহৃত এক রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে। তিনি আরও জানান, এ সময় হামলাকারীদের আতঙ্কে দিকবিদিক ছোটাছুটি করতে গিয়ে চেয়ারম্যানের পরিবারের ৫ সদস্য আহত হয়। এ সময় চেয়ারম্যানের ছেলে ঘরের পিছনের দরজা দিয়ে বাহিরে পালিয়ে যায়। তবে আহতদের আঘাত বেশি গুরুত্বর নয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
ওসি মো.সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযােগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।