পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দিলেন সাবেক সাংসদ আমানুর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:১৪ পিএম, ১ জুন,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০২:৫৯ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
সাবেক সাংসদ আমানুর রহমান খান রানার বিরুদ্ধে এক ব্যক্তিকে রিভলবার ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
আজ মঙ্গলবার (১ জুন) টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তপন রবিদাস নামের ওই ব্যক্তি এ অভিযোগ করেন।
সোমবার সকালে হুমকির পর নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে রাতেই টাঙ্গাইল সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তপন রবিদাস। তিনি জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বপন চৌধুরীর কর্মী।
ক্যানসারে আক্রান্ত স্বপন চৌধুরী একা চলাফেরা করতে না পারায় তাঁকে তিনি দেখাশোনা করেন। তপন রবিদাসের বাড়ি শহরের বেবিস্ট্যান্ড এলাকায়।
আমানুর রহমান খান আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার আসামি। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ২২ মাস হাজতবাসের পর ২০১৯ সালের ৯ জুলাই উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তপন রবিদাস জানান, সোমবার সকাল ১০টার দিকে স্বপন চৌধুরীকে ফিজিওথেরাপি দিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য শহরের কলেজপাড়া এলাকায় তাঁদের বাসার সামনে যান। এ সময় আমানুর রহমান খান দুটি গাড়ি ও মোটরসাইকেলের একটি বহর নিয়ে ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি গাড়ি থেকে নেমে তপন এ এলাকায় কী করছেন জানতে চান। তপন স্বপন চৌধুরীর কাজ করেন বলে আমানুরকে জানান।
এতে আমানুর ক্ষিপ্ত হয়ে একপর্যায়ে রিভলবার বের করে তপনের পেটে ঠেকিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টাঙ্গাইল ছেড়ে চলে যেতে বলেন। পরবর্তী সময়ে তাঁকে দেখলেই গুলি করে প্রাণে মেরে ফেলবেন বলে হুমকি দেন। পরে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেন। এ সময় আমানুর তাঁর সঙ্গীদের তপনকে এরপর যেখানে দেখা যাবে, সেখানেই মেরে ফেলার নির্দেশ দিয়ে গাড়িতে উঠে চলে যান।
হত্যার হুমকি দেওয়ার বিষয়টি ঠিক নয় দাবি করে আমানুর রহমান খান সাংবাদিকদের বলেন, তিনি তপন রবিদাসকে কোনো দিন দেখেননি। তাঁকে চেনেনও না।
আমানুর রহমান খান আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়টি পুলিশি তদন্তে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে বের হয়ে আসে। এরপর তিনি আত্মগোপন করেন। দুই বছর পলাতক থাকার পর ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
২২ মাস হাজতবাসের পর ২০১৯ সালের ৯ জুলাই উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হন। ফারুক হত্যা মামলায় আমানুরের ভাই সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান এখনো কারাগারে। অপর দুই ভাই পলাতক।
আমানুর ও তাঁর ভাইয়েরা স্বপন চৌধুরীর বড় ভাই সাবেক পৌর কাউন্সিলর রুমি চৌধুরী হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাজনৈতিক বিবেচনায় রুমি চৌধুরী হত্যা মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
অপরদিকে আমানুরের বড় ভাই আমিনুর রহমান খান হত্যা মামলার আসামি ছিলেন রুমি চৌধুরী। মামলাটি টাঙ্গাইল আদালতে বিচারাধীন।