জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকীর কর্মসূচিতে হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৫০ এএম, ১ জুন,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:০১ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
দেশব্যাপী বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদতবার্ষিকীর কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের ন্যক্কারজনক হামলা ও অনুষ্ঠান বানচালের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি।
আজ সোমবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম-এর ৪০তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে দেশব্যাপী বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে দুঃস্থ ও অসহায় মানুষদের মাঝে খাদ্যদ্রব্য ও বস্ত্র বিতরণ, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলসহ ব্যাপক কর্মসূচি পালিত হয়েছে এবং আজকেও তা চলমান রয়েছে। নানা স্থানে পুলিশি প্রচন্ড বাধা উপেক্ষা করে শহীদ জিয়ার শাহাদতবার্ষিকীর কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। গতকাল শহীদ জিয়ার শাহদতবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা, টাঙ্গাইল, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ, নড়াইল, কুষ্টিয়াসহ দেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মসূচিতে পুলিশ ও প্রশাসন নির্লজ্জভাবে শাহাদতবার্ষিকীর কর্মসূচিতে বাধা প্রদান ও তা নিয়ন্ত্রণ করে। কুষ্টিয়ায় কর্মসূচি পালনে পুলিশ নিষেধাজ্ঞা জারি করে, এমনকি দলীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন করা হলে সেই পতাকাও নামিয়ে ফেলে পুলিশ। নড়াইল জেলায় এতিমদের জন্য রান্না করা খাবারও তুলে নিয়ে যায় পুলিশ, মসজিদের দোয়া করতে দেয়া হয়নি। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি কার্যালয়সহ বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও ইউনিট কার্যালয়গুলোতে আগে থেকেই তালাবদ্ধ এবং সেখানে উপস্থিত হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাধা প্রদান করে। শহীদ জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনের কর্মসূচিতেও মাজারের প্রবেশমুখে পুলিশ বিনা কারণে নেতাকর্মীদেরকে ভেতরে ঢুকতে বাধা প্রদান করে।
এছাড়া গত ৩০ মে’র আগের রাতে কয়েকটি এলাকায় দুঃস্থ মানুষদের জন্য রান্না সামগ্রীও উঠিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। নড়াইলসহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীরা দুঃস্থ ও এতিমদের জন্য রান্না করা খাবার বিতরণের সময় তা কেড়ে নেয়। এ ধরনের গর্হিত কাজের জন্য আমরা ধিক্কার জানাই।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ কখনোই গণতান্ত্রিক রীতি-নীতিতে বিশ^াস করে না। এদের ঐতিহ্যই হচ্ছে-ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনকে যথেচ্ছ ব্যবহারের মাধ্যমে বিরোধী দল দমনে সবসময় হিংস্র আচরণ করে। আওয়ামী লীগ বরাবরই ভিন্নমত, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, ভোটাধিকার, বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতায় অবিশ্বাসী। এরা ক্ষমতা হাতে পেলেই বিরোধী দল দমনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচি দূরের কথা, বিরোধী নেতাকর্মীদের সামাজিক যেকোন আচার অনুষ্ঠান কিংবা দোয়া ও মিলাদের মতো ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতেও প্রশাসনকে দিয়ে বেপরোয়া আক্রমণ চালিয়ে তা পন্ড করে দেয়।
তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির পক্ষ থেকে দেশব্যাপী শহীদ জিয়ার শাহাদতবার্ষিকীর কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের ন্যক্কারজনক হামলা ও অনুষ্ঠান বানচালের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বর্তমান আওয়ামী সরকার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তথা বিএনপিকে ভয় পায় বলেই এ ধরনের অমানবিক ও ন্যক্কারজনক কর্মকান্ড চালিয়ে শহীদ জিয়াকে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয় থেকে মুছে ফেলার অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। কিন্তু শহীদ জিয়াউর রহমান এমন একজন জনপ্রিয় নেতা ও দেশের রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন যে তাঁকে শত ষড়যন্ত্র করেও মানুষের হৃদয় থেকে কখনোই মুছে ফেলা সম্ভব নয়।