ঢাকা মেডিকেলে কার্টুনিস্ট কিশোর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩৪ এএম, ১৯ মার্চ,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:০০ এএম, ১০ জানুয়ারী,শুক্রবার,২০২৫
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ১০ মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পাওয়া কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢামেকে গঠিত মেডিকেল বোর্ড তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছে।
এর আগে গত রবিবার (১৪ মার্চ) কিশোরকে নির্যাতনের মামলা তদন্ত করতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ। পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার একজনকে অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেন আদালত। সেইসঙ্গে ঢামেক হাসপাতালের তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে ২৪ কর্মঘণ্টার মধ্যে কিশোরকে যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তার কাছে প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দেয়া হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গত ৩ মার্চ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ কিশোরকে ৬ মাসের জামিন দেন। পরদিন ৪ মার্চ দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কাশিমপুর কারাগার (পার্ট-২) থেকে কিশোরকে মুক্তি দেয়া হয়। গেল বছরের ৫ মে কিশোর ও লেখক মুশতাকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)।
কিশোরের সঙ্গে কারাকারে থাকা অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদ গেল ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে মারা যান। এর আগে এ দুজনই আদলতে ৬ বার আবেদন করেও জামিন পাননি। পরে হাইকোর্ট কিশোরের জামিন মঞ্জুর করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা ‘আই অ্যাম বাংলাদেশি’ নামে ফেসবুক পেজে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণœœ করতে বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশে অপপ্রচার বা গুজবসহ বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দিয়েছেন। যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়।
মামলায় অন্য ৯ আসামি হলেন- রাজনৈতিক সংগঠন রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া, নেত্র নিউজের এডিটর-ইন-চিফ তাসনিম খলিল, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক শাহেদ আলম, জার্মানি প্রবাসী ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন, হাঙ্গেরি প্রবাসী জুলকারনাইন সায়ের খান (সামি), আশিক ইমরান, স্বপন ওয়াহিদ ও ফিলিপ শুমাখার।