ছাত্রদলের ১৩ নেতাকর্মী ৫ দিনের রিমান্ডে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৩৪ পিএম, ১ মার্চ,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:৫২ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ, গাড়ি ভাঙচুরসহ ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ছাত্রদলের ১৩ নেতাকর্মীকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার (১ মার্চ) দুপুরে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুর এ রিমান্ডের আদেশ দেন।
এদিন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই মো. আব্দুল্লাহ আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক এই আদেশ দেন।
রিমান্ড যাওয়া আসামিরা হলেন- মঞ্জুরুল আলম, আতাউর রহমান, মাসুদ রানা, শফিকুল ইসলাম, শাহীরাজ, আহসান হাবিব ভূঁইয়া, কবির হোসেন, মনোয়ার ইসলাম, আরিফুল হক, আনিসুর রহমান, আবু হায়াত মো. জুলফিকার, আতিক মোরশেদ ও মজান আহমেদ তপন।
এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এ জামিনের বিরোধী করে রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে পাঁচ দিনের রিমান্ড আদেশ দেন।
গতকাল রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা রাজধানীতে একটি সমাবেশ করেন। এরপর নেতাকর্মীদের সড়ক থেকে সরাতে একদিকে অ্যাকশনে নামে পুলিশ, অন্যদিকে ইট-পাটকেল ছুড়ে ও বাঁশ দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
এ ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলা, হত্যাচেষ্টা ও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগে তুলে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার দিবাগত রাতে পুলিশ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করে। মামলায় এজাহারনামীয় ৪৭ জন নেতাকর্মী ও অজ্ঞাতপরিচয় ২০০/২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনায় ১৩ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যু ও জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের প্রতিবাদে রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ছাত্রদল নেতাকর্মীরা বিনা অনুমতিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের থামানো ও রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করে।
প্রেস ক্লাবের ভেতরে ঢুকে অবস্থান নেন ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। তারা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এরপর পুলিশ ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।