মাদক কারবারে মাজার ব্যবহার, আড়ালে থাকতে ‘কাটআউট’ কৌশল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪৯ এএম, ১২ ফেব্রুয়ারী,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৪৪ এএম, ১২ অক্টোবর,শনিবার,২০২৪
রাজধানীতে মাদকের কারবার নির্বিঘ্নে চালাতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে অপরাধীরা। তারা ব্যবহার করছে মাজারকে, নিজেদের আড়ালে রাখতে নিচ্ছে ‘কাটআউট’ কৌশল। কারবারিরা গ্রেফতার এড়াতে পারস্পরিক পরিচয় ছাড়াই মাদক সরবরাহ ও অর্থ লেনদেন চালিয়ে যেতে যে কৌশল নিয়েছে, সেটিকেই ‘কাটআউট’ বলা হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর মাদক ব্যবসার অন্যতম হোতা মো. আব্দুল্লাহ মনির ওরফে পিচ্চি মনির (৩৩) ও তার সহযোগী মো. জুবায়ের হোসেনকে (৩৩) রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় বিদেশি অস্ত্র, ইয়াবা ও নগদ অর্থ।
এ দুজনকে নিয়ে গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করেন বাহিনীর সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। সেখানেই মাদক কারবারিদের নতুন এসব কৌশলের কথা তুলে ধরা হয়।
খন্দকার আল মঈন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব ২-এর একটি দল হাজারীবাগ থানা এলাকার মধুবাজারের একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে ঢাকার আব্দুল্লাহ মনির ওরফে পিচ্চি মনির ও তার সহযোগী জুবায়ের হোসেনকে গ্রেফতার করে। অভিযানে জব্দ করা হয় দুটি বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন, ১২ রাউন্ড তাজা গুলি, ১৮ হাজার ৭৭০ পিস ইয়াবা, ৬ গ্রাম আইস এবং মাদক বিক্রির নগদ চার লাখ ৬০ হাজার টাকা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার মনির মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায় সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
ফলের ব্যবসা ছেড়ে ইয়াবা কারবারে পিচ্চি মনির :
ব্রিফিংয়ে বলা হয়, গ্রেফতার পিচ্চি মনিরের পরিবার জীবিকার সন্ধানে ১৯৯৫ সালে ঢাকায় আসে এবং লালবাগ থানার শহীদনগর এলাকায় বসবাস শুরু করে। মনিরের বাবা চাতক শাহ জীবিকা নির্বাহের জন্য ফলের ব্যবসা শুরু করেন। মনির তাকে সহযোগিতা করতেন। এক সময় মনির এলাকার বখে যাওয়া ছেলেদের সঙ্গে চুরি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। ধীরে ধীরে তিনি এলাকার বখাটেদের নিয়ে লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর ও কেরানীগঞ্জ থানা এলাকায় একটি অপরাধ চক্র গড়ে তোলেন। চক্রের হাত ধরে নামেন মাদক কারবারে।