গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই, মাস্ক পরায় অনীহা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩৮ এএম, ১২ জানুয়ারী,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:৪৩ পিএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
দেশে আবারও করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। সরকারের বিভিন্ন বিধিনিষেধের পরও সেই অর্থে সর্বত্র স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি উপক্ষিত। রাজধানীর গণপরিবহনগুলোতেও একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে গাদাগাদি করে তোলা হচ্ছে যাত্রীদের। সঙ্গে চালক-সহকারী এবং বাসে ওঠা যাত্রীদের মধ্যে মাস্ক ব্যবহার নিয়েও রয়েছে অনীহা। আর মাস্ক পরাদের মধ্যে বেশিরভাগই থুতনিতে ঝুলিয়ে রাখছেন। বাসে নেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর কাওরান বাজার, বাংলামোটর, শাহবাগসহ কয়েকটি সড়কের বাসে ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে। কাওরান বাজার সার্ক ফোয়ারা থেকে একটু সামনে শিকড় পরিবহনের চালকের সহকারী যাত্রী তোলার জন্য হাঁকডাক দিচ্ছেন। অথচ বাসে উঠে দেখা যায় প্রতিটি সিটে সাধারণ যাত্রী বসা। কয়েকজন দাঁড়িয়েও রয়েছেন। এদের বেশিরভাগেরই মুখে মাস্ক পরা নেই। আর মাস্ক পরাদের মধ্যে বেশিরভাগই মুখ থেকে খুলে থুতনিতে ঝুলিয়ে রেখেছে। মাস্ক না পরা অয়ন নামের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হয় ঢাকা পোস্টের। অয়ন জানান, দীর্ঘ সময় মাস্ক পরে থাকতে সমস্যা হয় তার। সেজন্য মাঝে মধ্যে খুলে রাখে। একইস্থানে ট্রাস্ট পরিবহনে উঠে দেখা যায়, চালকের সহকারী মাস্ক না পরেই গেটে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলছেন। জানতে চাইলে এ সহকারী বলেন, সারাদিন গাড়িতে থাকি। গরমের কারণে সবসময় মাস্ক পরা যায় না। তাছাড়া মাস্ক পরে কথা বলতে সমস্যা হয়।
বাংলামোটর মোড়ে ফার্মগেটমুখী কয়েকটি বাসে উঠে দেখা যায় একই চিত্র। সেখানে বিআরটিসি বাসে উঠে দেখা যায়, গাদাগাদি করে যাত্রী ওঠানো হয়েছে। অনেকেরই মুখে মাস্ক নেই। নুরউদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, মহাখালী যাবেন। মাস্ক মুখে না পরে থুতনির ওপর কেন-জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবসময় পরে থাকলে দম বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় গণপরিবহনে যাত্রী পরিবহন নিয়ন্ত্রণসহ ১১ দফা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) থেকে দেশবাসীকে এসব বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক আদেশে বলা হয়, করোনার নতুন ধরন অমিক্রনের প্রাদুর্ভাব ও দেশে করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা–সংক্রান্ত আন্তমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত, দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকা- সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এসব বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বিধিনিষেধগুলো হলো বাস, ট্রেন ও লঞ্চে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলতে হবে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি কার্যকারিতার তারিখসহ সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারি করবে। আর সব ধরনের যানবাহনের চালক ও সহকারীদের আবশ্যিকভাবে করোনার টিকা সনদ থাকতে হবে।