কার্টুনিস্ট কিশোরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন ৩০ সেপ্টেম্বর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২৬ এএম, ১৩ সেপ্টেম্বর,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:২৭ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর ও দিদারুল ভূঁইয়াসহ সাতজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) গ্রহণ করে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর চার্জ গঠনের তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।
আজ রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
কিশোরের আইনজীবী জায়েদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, ১৩ জুন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আফছর আহমেদ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার অন্যতম আসামি লেখক মুশতাক আহম্মেদ মারা যাওয়ায় চার্জশিট থেকে তার নাম বাদ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া এজাহারভুক্ত আরও তিন আসামিকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এরা হলেন- যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক সাহেদ আলম, ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন ও ফিলিপ শুমাখার নামে অজ্ঞাত ব্যক্তি (এই নামে ফেসবুক আইডি ছিল, কিন্তু ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়নি)। অভিযোগপত্রে নাম আসা অপর আসামিরা হলেন- আল জাজিরায় প্রচারিত একটি প্রতিবেদনের অন্যতম প্রধান চরিত্র সামিউল ওরফে জুলকারনাইন সায়ের খান, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান, নেত্র নিউজের এডিটর ইন চিফ তাসনিম খলিল, আশিক ইমরান ও স্বপন ওয়াহিদ।
এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলায় প্রথমবার চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহসীন সর্দার। চার্জশিটে তখন তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়। বাকি আট আসামিকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়। এরপর গত ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম মামলাটি পুনরায় তদন্ত করার আবেদন করেন। এরপর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটকে (সিটিটিসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
গত বছরের ৫ মে র্যাব-৩ এর ওয়ারেন্ট অফিসার আবু বকর সিদ্দিক রমনা থানায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা ‘আই অ্যাম বাংলাদেশি’ নামে ফেসবুক পেজে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ন করতে বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যে অপপ্রচার বা গুজবসহ বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দিয়েছেন। যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়।