বান্ধবীর জন্মদিনে গৃহবধু ধর্ষণ : প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষককে গ্রেফতার করলো পুলিশ

নোয়াখালীর সেনবাগে বান্ধবীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে (২২) ধর্ষণের ঘটনায় এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত মো.আইমুন ভূঞা (২৬) উপজেলার কাদরা ইউনিয়নের নন্দীর পাড় এলাকার মো. মোস্তফার ছেলে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত আসামিকে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এর আগে, গতকাল বুধবার রাতে চট্রগ্রামের পতেঙ্গা সিবিচ এলাকা থেকে সেনবাগ থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

সেনবাগ থানা সূত্রে জানা যায়, ধর্ষক আইমনকে ধরার জন্য এক নারীর প্রেমের ফাঁদে ফেলে পুলিশ। কয়েকদিন কথা বলার পর আইমন তার সাথে দেখা করার জন্য প্রস্তাব দেয়। ওই নারীর সাথে সে চট্রগ্রামের সিবিচ এলাকায় বুধবার রাতে দেখা করতে এলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, এ ঘটনায় ফরহাদকে নামে একজনকে প্রধান আসামিকে ৩ জনের বিরুদ্ধে নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন নির্যাতিতা গৃহবধূ। ওই মামলার ৩নম্বর আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামিকে দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য,গত শুক্রবার (২০ আগস্ট) রাত ৯ টার দিে ভুক্তভোগী গৃহবধূ তার বান্ধবীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে তাদের বাড়িতে যান। জন্মদিনের কেক কাটার পর স্থানীয় লেদু মিয়ার ছেলে ফরহাদের নেতৃত্বে ৫/৭ জন লোক ওই বাড়িতে আসেন। এ সময় তারা অনুষ্ঠানে আসা গৃহবধূর সাথে রাজন নামে এক যুবকের সম্পর্ক আছে বলে অভিযোগ তুলে তাদেরকে ফরহাদের ভবনে নিয়ে আটক করে। এক পর্যায়ে বিশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। রাজন চাঁদা দিতে অস্বীকার করে বিভিন্ন জায়গায় ফোনে যোগাযোগ করলে কিছুক্ষণ পর রাজনকে ছেড়ে দেয়ার জন্য ফোন আসলে তারা রাজনকে ছেড়ে দেয়। কিন্ত গৃহবধূকে আটকে রেখে কুপ্রস্তাব দেয় সন্ত্রাসীরা। তাতে রাজি না হওয়ায় রুমের দরজা বন্ধ করে সন্ত্রাসী ফরহাদসহ ৩জন  জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। পরে গত সোমবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে এ ঘটনায় নির্যাতিত গৃহবধূ নারী ও  শিশু নির্যাতন দমন আইনে সেনবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন।