সড়কে নেমেছে সব গণপরিবহন, নেই শুধু স্বাস্থ্যবিধি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২৭ এএম, ২০ আগস্ট,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:১৮ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
করোনা মহামারির মধ্যে ঈদুল আজহার পর দীর্ঘ ১৯ দিনের লকডাউন শেষে গত ১১ আগস্ট থেকে শুধুমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাদে দেশের সব অফিস-প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়। ওইদিন থেকেই সড়কে নামে গণপরিবহন। তবে সংখ্যাটা ছিল অর্ধেক। সব আসনে যাত্রী পরিবহনের অনুমতি থাকলেও সব বাস রাস্তায় নামার অনুমতি ছিল না। আজ থেকে সে বাধাও কাটলো।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব অঞ্চলে শতভাগ গণপরিবহন রাস্তায় নেমেছে। তাতে করে মহানগরীগুলো চিরচেনা ব্যস্ততা আর জ্যাম ফিরি পেয়েছে।
যদিও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি শুরু থেকেই শতভাগ বাস চলাচলে অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু সরকার সেই অনুমতি দেয়নি। তবে ১১ আগস্টের পর থেকে আসলেই অর্ধেক বাস চলাচল করেছে কিনা, সেটার সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য নেই সংশ্লিষ্টদের কাছে। এছাড়া সারা দেশে মোট কি পরিমাণ বাস চলাচল করে, পরিবহন মালিকদের কাছেও সে হিসাব নেই। শতভাগ বাস রাস্তায় নামার অনুমতি থাকলেও বাসে দাঁড়িয়ে যাত্রী পরিবহন না করতে বলা হলেও সরেজমিনে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। সকাল থেকেই রাজধানীর বাসগুলোতে দাঁড়িয়ে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। বাস চালুর এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এসব বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)-কে কোনও ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
এদিকে সব গণপরিবহন চালু হওয়ায় পরিবহন মালিকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। দূরপাল্লার সব রুটের বাস চালু করেছেন পরিবহন মালিকেরা। দূরপাল্লার বাসেও শতভাগ যাত্রী নেয়া হবে। তবে সেখানে যাত্রীদের চাপ তুলনামূলক কম লক্ষ্য করা গেছে। সড়কে সকল প্রকার গণপরিবহন চলাচল সংক্রান্ত জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) থেকে বলা হয়েছে, গণপরিবহনে ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়া থাকছে না। যাত্রীদের কাছ থেকে কোনোভাবেই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না। গণপরিবহনের চালক-হেলপার সুপারভাইজার কন্টাকটার এবং টিকিট বিক্রয় কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা সবাইকে মাস্ক পরতে হবে এবং তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। যাত্রার শুরু এবং শেষে যানবাহনগুলোকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত স্প্রে করতে হবে। এছাড়া যানবাহনের মালিকদের যাত্রীদের হাত ব্যাগ ও মালপত্র জীবাণুনাশক ছিটিয়ে জীবাণুমুক্ত রাখার ব্যবস্থা রাখতে হবে। সেখানে আরও বলা হয়, গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধিসহ অন্যান্য বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। অন্যথায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।