জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে পরীমনি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০২ এএম, ১৪ আগস্ট,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:৩৫ এএম, ১৬ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
চিত্রনায়িকা শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমনি ও তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুকে মাদকের মামলায় জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ শুক্রবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মন্ডলের আদালত এ আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এ মামলায় আসামিদের ছাড়াই শুনানি শুরু হয় দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে। পরীমনির আইনজীবীরা আদালতের কাছে আবেদন করেন আসামিকে আদালতে হাজির করে যেন জামিন শুনানি করতে পারেন তারা। সেই আবেদন নামঞ্জুর করে আসামিদের ছাড়াই জামিন শুনানি করার আদেশ দেন আদালত।
শুনানিতে তদন্ত কর্মকর্তা পরীমনি ও তার সহযোগীকে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মুজিবুর রহমান ও নীলাঞ্জনা রিফাত সৌরভী জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জামিনের আবেদনে পরীমনির আইনজীবী মজিবুর রহমান উল্লেখ করেন, ‘পরীমনি একজন প্রথম সারির চিত্রনায়িকা। ফোর্বস ম্যাগাজিন-এ ডিজিটাল তারকা হিসেবে বিশ্বের ১০০ জনের মধ্যে পরীমনির নাম রয়েছে; যা বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের জন্য গৌরবজনক। আসামি পরীমনি জেলহাজতে আটক থাকলে চলচ্চিত্র অঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন কোম্পানি ও চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সঙ্গে পরীমনির যে চুক্তি হয়েছে তা ভঙ্গেরও সম্ভাবনা রয়েছে। সম্প্রতি ‘প্রীতিলতা’ নামক একটি সরকারি সিনেমার জন্য ফটোশুট অলরেডি করা হয়েছে।’
আবেদনে আরও বলা হয়, পরীমনির বিরুদ্ধে ১৮ লিটার মদ ও অন্যান্য মাদক রাখার অভিযোগ করা হয়েছে, যা আসামির কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়নি। পরীমনি দীর্ঘ সময় ধরে পুলিশ হেফাজতে থেকে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। চিকিৎসার স্বার্থে আসামিকে জামিন দেয়া হোক। তাছাড়া পরীমনিকে দুই দফায় ৬ দিন রিমান্ডে রাখার পর তার কাছ থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদঘাটন করতে পারেনি। পরীমনি একজন স্বনামধন্য ব্যক্তি। ফলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আসামি জামিন পেতে পারেন।
এর আগে আজ শুক্রবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে পরীমনি ও তার সহযোগীকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয়। এরপর তাদের আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।
গত মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাসের আদালত তাদের প্রত্যেকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং গত ৫ আগস্ট একই মামলায় পরীমনি ও আশরাফুল ইসলাম দীপুর চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ।
এর আগে ৪ আগস্ট রাতে প্রায় ৪ ঘন্টার অভিযান চালিয়ে বনানীর বাসা থেকে পরীমনি ও তার সহযোগীকে আটক করে র্যাব। তার বাসা থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয় বলে জানানো হয়। আটকের পর তাদের নেয়া হয় র্যাব সদর দফতরে। পরে র্যাব-১ বাদী হয়ে মাদক আইনে পরীমনির বিরুদ্ধে মামলা করে।