রাজধানীতে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন : মামলা নেয়নি পুলিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩০ এএম, ১২ আগস্ট,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:০৫ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
হাতের মেহেদী শুকানোর আগেই স্বামীর অত্যাচারে গা থেকে ঝড়ছে রক্ত। যৌতুকের দাবিতে বিয়ের চার মাস না পেরোতেই নির্যাতনের শিকার এক নারী। ভুক্তভোগীর দাবি, আদাবর থানায় অভিযোগ করতে গেলে মামলা নেয়নি পুলিশ। পরে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জানান তিনি। অভিযোগটি সরকারি এক শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তার ছেলের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, দু চোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে আলিনা রামিসা বসেছিলেন বিয়ের পিরিতে। ঘোর কাটার আগেই রক্তাক্ত তার দেহ। গেল মার্চে আলিনা রামিসা ভালবেসে বিয়ে করেন তন্ময় কামাল নামের এক তরুণকে। কিন্তু বিয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকেই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন তিনি। ভুক্তভোগী আলিনা রামিসা বলেন, আমাকে গলা চেপে ধরে থাপ্পড়, লাথি যখন যা সামনে পায় তা দিয়েই মারে। সে ইউকে যাবে তার জন্য ৭০ লাখ টাকা লাগবে এই টাকা আমি দিতে পারছি না বলে তার মার প্ররোচনায় সে আমাকে প্রতিদিন মারে। তারপরও আমি যখন সংসার করতে চাই কিন্তু সে টাকা চায়। সংসারটা টেকানোর জন্য আমি আমার চাকরির বেতন থেকেও অনেক লোন নিয়ে সংসারের অনেক জিনিসপত্র কিনেছি। প্রতিবেশীরা জানান, প্রায় সময়ই তাদের ফ্ল্যাট থেকে হট্টগোল শোনা যেতো। আলিনার অভিযোগ, তার স্বামীর বাবা প্রভাবশালী সরকারি কর্মকর্তা হওয়ায় মামলা নেয়নি পুলিশ। জীবননাশের হুমকি পাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমি মামলা করতে গেলেও পুলিশ বলেছে ওপর থেকে নির্দেশ আছে মামলা না নেয়ার। আমি ডিসি অফিসে যাই তিনিও মামলা নেননি, তিনি এডিসির কাছে পাঠান। কিন্তু এডিসি মামলা না নিয়ে আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাধারণ ডায়েরি হওয়ার কথা জানালেও, ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি। অভিযুক্তের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলেও ফোন ধরেননি তিনি।