চাইলেই যাওয়া যাচ্ছে গন্তব্যে, নেই কোন নজরদারি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:১৬ এএম, ১১ জুলাই,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:৫৩ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
গন্তব্যে যাওয়ার জন্য প্রাইভেট কার, ট্রাক, মোটরবাইক, ব্যাটারি চালিত মিশুক- সবই রয়েছে। যে কেউ চাইলে দূরপাল্লার পরিবহন ছাড়াও যেতে পারছেন গন্তব্যে। আমিনবাজার ব্রিজ হয়ে সাভার উপজেলার শুরু সেখানে, সেটা অনেকটা অস্থায়ী স্ট্যান্ডে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন বাহনে চড়ে যে কেউ যেতে পারছেন বিভিন্ন স্থানে। চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে এমন কর্মকান্ডে তৎপরতা মেলেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনও সদস্যের।
আজ শনিবার রাজধানীর গাবতলী এবং আমিনবাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গাবতলী থেকে হেঁটে পার হয়ে অনেকেই ছুটছেন বাড়ির পথে।
গণপরিবহন না থাকায় রাজধানী থেকে রিকশা যোগে এসে গাবতলী নামছেন। তারপর এখান থেকে পায়ে হেঁটে আমিনবাজার ব্রিজ পার হয়ে সামনের দিকে যাচ্ছে। গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়ে অনেকে বড় বড় ব্যাগ নিয়েও হেঁটে ব্রিজ পার হয়ে নিজেদের গন্তব্যে যাওয়ার জন্য যানবাহনগুলোর দিকে যাচ্ছেন। আমিন বাজার এলাকায় যাত্রীর জন্য হাঁকডাক করছিলেন কালাম। রাজশাহী যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যাওয়া সম্ভব তবে, ভাড়া পড়বে ৮০০। যেতে কোনও সমস্যা হবে না। পুলিশকে ম্যানেজ করে রেখেছি আগে থেকেই। আমিনবাজার ব্রিজ পার হয়ে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন প্রাইভেট কার চালক কাশেম। কথা হয় তার সঙ্গে। তার গাড়িতে লাগানো ছিল জরুরি সংবাদপত্র। কীভাবে এই জায়গায় এসেছেন জানতে চাইলে তিনি প্রথমে এ বিষয়ে কথা বলতে না চাইলেও পরে জানান, সংবাদপত্রের একটি কার্ড রয়েছে তার কাছে। তবে কোন সংবাদপত্রের সেটি তিনি জানাতে চাননি। বিভিন্ন পুলিশি তল্লাশিতে সংবাদপত্র পরিচয় দিলে অনেকটাই ছেড়ে দেন তারা। আর যাত্রী পরিবহনের বিষয়ে বলছেন, যতটুকু জানা যায় ঘাট পর্যন্ত যাওয়ার চিন্তাভাবনা আছে, সে অনুযায়ী যাত্রী খোঁজ করছি।
সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঈনুল ইসলাম বলেন, আমিনবাজার এলাকায় পুলিশি তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে। পেট্রোলিং ডিউটি চলছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রাইভেট কার, মোটরবাইক কিংবা ব্যাটারি চালিত মিশুকগুলো অন্যত্র চলে যায়। তবে আমিনবাজার ব্রিজের কোণায় কোনও জনসমাগম যেন না হতে পারে সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি। মিরপুর বিভাগের গাবতলী জোনের ট্রাফিক সার্জেন্ট আলী আহমেদ বলেন, যাত্রীবাহী কোনও প্রাইভেট কার রাজধানী থেকে গাবতলী দিয়ে ছেড়ে যেতে না পারে সে বিষয়ে আমরা নজরদারি রেখেছি। যেসব গাড়িতে যাত্রী রয়েছে সেসব গাড়ির চালকদের আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছে। যারা যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারছে তাদেরকে ছাড়ছি। এ ছাড়া যদি প্রতীয়মান হয় যে, প্রাইভেট কার ভাড়ায় চলছে তাহলে সেগুলোকে আমরা মামলা দিচ্ছি।