চেকপোস্টে মোটরসাইকেল আটকানোয় সড়ক বন্ধ করে দিলেন সহকারী প্রকৌশলী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩৩ এএম, ৪ জুলাই,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:৫৪ এএম, ১১ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
রাজধানীর মিরপুরে পুলিশের চেকপোস্টে মোটরসাইকেল আটকে দেয়ায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পিকআপ দিয়ে সড়ক আটকে দিলেন সংস্থাটির এক সহকারী প্রকৌশলী। ঘটনাটি ঘটেছে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় আজ শনিবার সকাল ১১টায়। ডিএনসিসি’র ওই সহকারী প্রকৌশলীর নাম আমিনুল ইসলাম। তিনি ডিএনসিসির অঞ্চল ২-এর সহকারী প্রকৌশলী।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সকাল ১১টায় প্রকৌশলী আমিনুল মোটসাইকেলে এক ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর পুলিশের চেকপোস্ট অতিক্রম করছিলেন। এ সময় দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট নিশীত হেলমেট না থাকায় ওই দু জনকে মোটরসাইকেল থামাতে বলেন এবং তাদের কাছে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চান। কাগজপত্র না থাকায় এ নিয়ে প্রকৌশলী আমিনুলের সঙ্গে পুলিশের বাকবিতন্ডা চলতে থাকে। এভাবে প্রায় আধাঘন্টা বাকবিতন্ডা চলে। ঘটনাটি উৎসুক জনতার নজরে পড়লে সবাই জড়ো হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ মোটরসাইকেল আটক করে তাদের হেফাজতে নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কিছুক্ষণ পর ওই সহকারী প্রকৌশলী সিটি করপোরেশনের বড় একটি পিকআপ নিয়ে আসেন। তিনি ১০ নম্বর গোলচত্বরের পশ্চিম পাশের পুরো রাস্তা পিকআপ দিয়ে আটকিয়ে দেন। এতে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ রাস্তা বন্ধ করার কারণ জানতে চাইলে ওই প্রকৌশলী বলেন, সড়ক সংস্কার করব। এভাবে কিছু সময় উভয়পক্ষের বাকবিতন্ডা চলে। এক পর্যায়ে কাফরুল জোনের পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তিনি ওই প্রকৌশলীর কাছে নিয়ম ভঙ্গ করে মোটরসাইকেল চালানোর কারণ জানতে চান। প্রকৌশলী আমিনুল কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। দুপুর ১২টায় ডিএনসিসি’র প্রভাবশালী ঠিকাদার পারভেজ প্রকৌশলী আমিনুলকে নিয়ে পল্লবী জোনের এসি (ট্রাফিক) ইলিয়াস হোসেনের কার্যালয়ে যান। সে সময় কোনো গণমাধ্যমকর্মীকে এসির কার্যালয়ে ঢুকতে দেয়া হয়নি।
পল্লবী জোনের এসি ইলিয়াস হোসেন বলেন, মোটরসাইকেলের কাগজপত্র ঠিক আছে তবে হেলমেট না থাকায় মামলা দেয়া হয়েছে। রাস্তা বন্ধ করার কারণ জানতে চাইলে এসি বলেন, রাস্তা ঠিক করবে তাই। রাস্তা আটকানোর কোনো ঘটনা ঘটেনি। তিনি এ ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদন না করার পরামর্শ দেন।