নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে টাঙ্গাইলে মওলানা ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৩৯ এএম, ১৮ নভেম্বর,
বুধবার,২০২০ | আপডেট: ১২:০৪ এএম, ২২ অক্টোবর,মঙ্গলবার,২০২৪
নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে টাঙ্গাইলে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ভাসানী ফাউন্ডেশন, ভাসানী পরিবার ও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্বৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে সন্তোষে ভাসানীর পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এছাড়া সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
আজ মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) সকালে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আলাউদ্দিন। এরপর ভাসানীর পরিবারের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী ও বিএনপির পক্ষ থেকে দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাত করেন। এ সময় কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবীর খোকন, শিমুল বিশ্বাস, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, সহ-সভাপতি ছাইদুল হক ছাদুসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান ফারুকের নেতৃত্বে মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাজাহান আনসারী এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরন প্রমুখ। এদিকে গণস্বাস্থ্যের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকী, ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক রাশেদ ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাত করেন। এছাড়া জেলা জাতীয় পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টি, ভাসানী স্মৃতি সংসদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, জাসাস, ভাসানী আদর্শ অনুশীলন পরিষদ, ভাসানী স্মৃতি পরিষদ, ন্যাপ ভাসানী, আওয়ামী সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
মাজার জিয়ারত শেষে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে যে দুর্যোগের সৃষ্টি হয়েছে তা থেকে রক্ষা পেতে হলে আমাদের দৃঢ় ও সৎ হতে হবে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের উচিত মওলানা ভাসানীর জীবন-চরিত্র ও আদর্শ স্মরণ করা। এই দুর্যোগ থেকে অব্যাহতি পেতে আমাদের ত্যাগী হতে হবে। আমরা যারা নেতা তাদের দুর্দশা হবেই। স্বাধীনতায় যার যা মর্যাদা তা স্বীকার করতে হবে বলেও মনে করেন তিনি।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু বলেন, আজকে ভাসানী বেঁচে থাকলে দেশে ভোটারবিহীন নির্বাচন হতে পারতো না। ভাসানীর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে এই স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটাতে হবে। এ সময় তিনি বলেন, বিএনপি জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। জনগণকে সাথে নিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভোটের মাধ্যমে বিএনপি সরকার পরিবর্তনে বিশ্বাস করে।
বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং ক্যাম্পাসে অবস্থিত শাহ্ নাসিরউদ্দিন বোগদাদী এতিমখানায় কোরআন খতম ও এতিমদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়।
১৯৭৬ সালের এই দিনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বরেণ্য এই নেতা মৃত্যুবরণ করেন।