শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করার অধিকারকে সম্মান দেয়ার আহ্বান অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০২:২১ এএম, ২৮ মার্চ,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৪৬ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক বিবৃতিতে বলেছে, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই সমবেত হওয়ার এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকারকে সম্মান করতে হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ‘সমাবেশে পুলিশের গুলিতে চারজনের মৃত্যুর ঘটনা’ স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর এমন বিবৃতি দিয়েছে সংস্থাটি। গত শুক্রবার দুপুরে ঢাকায় বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় ব্যাপক সংঘর্ষের পর এর জের ধরে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সংঘর্ষ হয় ও তাতে চারজনের মৃত্যুর খবর উঠে আসে গণমাধ্যমে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের প্রতিবাদে কিছু বাম ও ডানপন্থী সংগঠন গত কয়েক দিন ধরে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছিল। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক গবেষক সুলতান মোহাম্মেদ জাকারিয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, চট্টগ্রাম ও ঢাকার সহিংসতার দৃশ্য বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের আচরণের একটি পরিচিত রূপ। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার হামলার শিকার হয়েছে বিশেষ করে এই করোনা মহামারির সময়ে। আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার ও সংবিধানে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার আছে। কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই এগুলোকে সম্মান করতে হবে। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার রক্ষা ও বেআইনি শক্তি প্রয়োগ থেকে বিরত থাকতে হবে। অ্যামনেস্টির দাবি ওই ঘটনায় এক শ’রও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। সংস্থাটি বলছে, গত ২৫ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরের বিরুদ্ধে আয়োজিত সমাবেশে কাঁদুনে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুঁড়লে অন্তত ৪০ জন আহত হন। ২৪ মার্চ সিলেটে বাম গণতান্ত্রিক জোটের কর্মসূচিতে লাঠিচার্জের ঘটনায় ২৫ জন আহত হন। একইদিন রাজশাহীতে দশজন আহত হন। ২৩ মার্চ বিক্ষোভকারীদের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মারধর করছে এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে, যাতে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। এর আগে গত বছর ডিসেম্বরে ঢাকার পুলিশ কর্তৃপক্ষ অনুমতি ছাড়া সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল।
উল্লেখ্য, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রগুলোর দেয়া তথ্যমতে, গত শুক্রবার নরেন্দ্র মোদি-বিরোধী বিক্ষোভে চট্টগ্রামে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষ হয়। এসব সংঘর্ষে চট্টগ্রামে চারজন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজনের মৃত্যু হয়। এর প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আজ বিক্ষোভ এবং আগামীকাল হরতাল পালন করবে বলে জানিয়েছে।