ডেঙ্গু মশা মারতেই বছর শেষ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০:২০ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ১০:৩৩ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
গত এক বছরে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণেই ছিল। তবে বিপরীত চিত্র ছিল ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর ক্ষেত্রে। কারণ ডেঙ্গুতে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এ বছর, যা আগে কখনো হয়নি। পাশাপাশি ডায়রিয়ার প্রকোপও ভুগিয়েছে সাধারণ মানুষকে। এ নিয়েও সমালোচনা কম হয়নি। এ ছাড়াও শিশুদের টিকা দেয়া শুরু করে বছরে শেষ সময়ে বুস্টারের চতুর্থ ডোজ দেয়া, অবৈধ ক্লিনিক ও হাসপাতাল বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অভিযান এবং ওষুধের দাম বৃদ্ধির প্রসঙ্গ বছরজুড়েই ছিল আলোচনায়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, গত এক বছরে দেশের স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বরাদ্দ যেমন বেড়েছে তেমনই মানুষের মাথাপিছু স্বাস্থ্য ব্যয়ও বেড়েছে; কিন্তু সরকারি স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়েনি। রোগী অনুপাতে চিকিৎসকের সংখ্যাও আশানুরূপ বাড়েনি। তাই সরকারি চিকিৎসাসেবার এই দুরবস্থার সুযোগ নিয়ে রমরমা ব্যবসা করছে বেসরকারি স্বাস্থ্য খাত। যা ডেঙ্গুর প্রকোপের সময় দেখা গেছে। যদি এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সুনির্দিষ্ট বা জাতীয় পরিকল্পনা থাকত তাহলে এত প্রাণহানি হতো না। তাই রোগীবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার পরামর্শ তাদের।
ডেঙ্গু : চলতি বছরজুড়েই আলোচনার শীর্ষে ছিল দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি। ডেঙ্গুতে এবার রেকর্ডসংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তও হয়েছে রেকর্ডসংখ্যক মানুষ। কয়েকটি জেলা বাদে দেশের প্রায় সব জেলায়ই ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার করে। হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বাড়ায় দেখা দেয় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) সংকট। চিকিৎসকদেরও সেবা দিতে হিমশিম খেতে দেখা গেছে। চলতি বছর ডেঙ্গুর ১, ৩ ও ৪ সেরোটাইপে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। একাধিক সেরোটাইপে সংক্রমণ ঘটায় ডেঙ্গুতে মানুষের আক্রান্ত হওয়া এবং মৃত্যুর হার বেশি বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য মতে, চলতি বছরের ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৭৪ জনের। আর চলতি বছর দেশে ডেঙ্গুতে মোট আক্রান্ত হয়েছে ৬১ হাজার ৮৮৩ জন। এর আগে ২০১৯ সালে ডেঙ্গুতে মারা গেছে ১৭৯ জন এবং আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন। আর ২০২০ সালে ডেঙ্গুতে শনাক্ত হয় ১ হাজার ৪০৫ জন, মৃত্যু হয় ৭ জনের। এ ছাড়া ২০২১ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত শণাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৮ হাজার ৪২৯ জনে। মৃত্যু হয় ১০৫ জনের। চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে মৃত্যু হয়েছে ১৭১ জনের। এর পরেই চট্টগ্রাম বিভাগে ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শুধু কক্সবাজার জেলায়ই মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। হাসপাতালে আইসিইউ স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বলছে, এবার ডেঙ্গুতে যারা মারা গেছে তাদের ৪৮ শতাংশেরই শক সিনড্রোম ছিল। ডেঙ্গু নিয়ে যারা গবেষণা করেন, তাদের মধ্যে অন্যতম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার। তিনি বলেন, ডেঙ্গুতে মৃত্যুর প্রধান কারণ রক্তের প্ল্যাটিলেট কমে যাওয়া, যে কারণে শুরু হয় রক্তক্ষরণ। আরও একটি কারণ হলো হাসপাতালে রোগীদের দেরিতে আসা। অর্থাৎ অনেকে বুঝতেই পারেন না হাসপাতালে কখন যেতে হবে। ডেঙ্গু প্রথম তিন দিনের মধ্যেই পরীক্ষা করাতে হয়। আর জ্বর কমতে থাকলে প্ল্যাটিলেট কমে যায়, তখন চিকিৎসা নিতে এলেও ডাক্তারদের কিছু করার থাকে না। তিনি বলেন, ডেঙ্গু ভাইরাসটির কয়েকটি ধরন আছে। যেমন সেরো টাইপ-ওয়ান, টু, থ্রি ও ফোর। যারা আগের বছর ওয়ান বা টুতে আক্রান্ত হয়েছিল তাদের অনেকেই এ বছর থ্রি বা ফোরে আক্রান্ত হয়েছে, ফলে মৃত্যুও বেড়েছে। তবে মানুষ যদি আরও বেশি সচেতন হতো এবং প্রশাসন যদি সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করত তাহলে মৃত্যুর সংখ্যা আরও কম হতে পারত বলেও মনে করেন তিনি।
করোনা : দেশে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ। আর প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর অর্থাৎ ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যু হয়। তবে এ বছর জুন-জুলাইয়ে করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়লে চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কা করেন বিশেষজ্ঞরা। প্রতিবেশী দেশ ভারত ও চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধিতে সে শঙ্কা আরও প্রবল হয়। তবে বছরের শেষ দিকে এসে করোনা সংক্রমণের ধারা নিম্নমুখী হয়। এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৩৮ জনের। আর মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২০ লাখ ৩৭ হাজার ১১ জন হয়েছে।
ডায়রিয়া : এ বছর অন্য যেকোনো বছরের তুলনায় দেশের সব জেলাতেই মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। দেশে মার্চের মাঝামাঝি থেকেই ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। রাজধানীতেই আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি ছিল। মহাখালীর আন্তর্জাতিক উদরাময় রোগ গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশে (আইসিডিডিআরবি) ৬০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডায়রিয়া রোগী ভর্তি (দৈনিক হিসাবে) হয়েছে এ বছর। গত ৪ এপ্রিল রেকর্ডসংখ্যক ১ হাজার ৩৮৩ জন রোগী ভর্তি হয়। আইসিডিডিআর, বি অন্যান্য হাসপাতালেও ডায়রিয়া রোগীর চাপ বাড়ে। সার্বিক অবস্থা মোকাবিলায় হিমশিম খেতে হয় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের।আইসিডিডিআরবির তথ্য বলছে, এর আগে ২০১৮ সালে ডায়রিয়ার প্রকোপের সময় গড়ে ১০০০ এর মতো রোগী ভর্তি ছিল। সে সময় সর্বোচ্চ রোগী ভর্তি ছিল ১০৪৭ জন। এ ছাড়া এর আগে ২০০৭ সালে বন্যার সময় ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব হয়। তখনও ভর্তি রোগী ১ হাজারের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম সারা দেশে ডায়রিয়া রোগীর জানুয়ারি থেকে মার্চ এই ৩ মাসের হিসাবে দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া মোট রোগী ৪ লাখ ৬১ হাজার ৬১১ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ২ জন। ডায়রিয়ায় সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ২৪৭ জন। সবচেয়ে কম আক্রান্ত হয়েছে বরিশাল বিভাগে। আর এ অবস্থা চলমান থাকে অক্টোবর পর্যন্ত।
ওষুধের দাম বৃদ্ধি : দেশের মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য তালিকাভুক্ত ১১৭টি ওষুধের দাম বাড়ানোর ক্ষমতা রয়েছে সরকারের হাতে। ওষুধের এই মূল্যবৃদ্ধির আগে অন্তত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে মানুষকে জানানোর নিয়ম। কিন্তু তার ব্যত্যয় ঘটিয়ে শুধুমাত্র কোম্পানিগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে গত ২০ জুলাই ৫৩টি ওষুধের দাম পুনর্র্নিধারণ করে সরকার। আর এই ৬ মাসে অর্ধশতাধিক ওষুধের দাম সর্বনিম্ন ১৩ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এর মধ্যে জেনেরিক (শ্রেণিগত বা জাতীয়) ওষুধ যেমন প্যারাসিটামল, মেট্রোনিডাজল, অ্যামোক্সিলিন, ডায়াজিপাম, ফেনোবারবিটাল, এসপিরিন ও ফেনোক্সিমিথাইল পেনিসিলিনসহ অন্যান্য ওষুধ রয়েছে। এ ছাড়া এসেনশিয়াল ড্রাগের (জীবনরক্ষাকারী ওষুধ) তালিকায় গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ, অ্যান্টিবায়োটিক, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ রক্তচাপ, ব্যথানাশক ও গ্যাসের সমস্যার নিয়মিত ওষুধগুলোর দাম ৫০ শতাংশ থেকে ১৩৪ শতাংশ বেড়েছে। অর্থাৎ কিছু ওষুধের দাম দ্বিগুণেরও বেশি ছাড়িয়েছে। গত মাসে শুধুমাত্র একটি কোম্পানিই ২৪ ধরনের ওষুধের দাম ৫ থেকে ১২ শতাংশ বাড়িয়েছে। আর ওষুধের-দাম বৃদ্ধির কারণে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের ক্রেতাদের কাটছাঁট করতে হচ্ছে প্রতিদিনের ওষুধের তালিকাও।
অবৈধ হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযান : দেশের স্বাস্থ্য খাতে ২০২২ সালের অন্যতম আলোচিত বিষয় হলো অবৈধ ও অনিবন্ধিত হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদফতরের চিরুনি অভিযান। দফায় দফায় সময় বেঁধে দিয়ে একাধিকবার এই অভিযান পরিচালনা করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। চলতি বছরের ২৬ মে স্বাস্থ্য অধিদফতর সারা দেশে প্রথম অভিযান শুরু করে। এক সপ্তাহের অভিযানে সারা দেশে ২ হাজারের বেশি অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করা হয়।
টিকা ছাড়া সাফল্য : দেশে প্রথম করোনার টিকা দেয়া শুরু হয় ২০২১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। প্রথমে ষাটোর্ধ্বদের টিকা দেয়া শুরু হলেও পরে বয়সসীমা কমিয়ে গত বছর ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সি শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা হয়। আর চলতি বছরের আগস্ট মাস থেকে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সি শিশুদের করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু হয়। এ ছাড়াও গত ২০ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এ টিকা বয়স্ক জনগোষ্ঠী ও ফ্রন্টলাইনারসহ পাঁচ শ্রেণির মানুষকে দেওয়া হচ্ছে । স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য মতে, দেশে এখন পর্যন্ত করোনা টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে ১৪ কোটি ৯৩ লাখ ৫২ হাজার ৭৮৮ জন, দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে ১২ কোটি ৬৭ লাখ ৫৫ হাজার ৬ জন এবং ৬ কোটি ৪৮ লাখ ৫৮ হাজার ১৫২ জন মানুষকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। চতুর্থ ডোজ পেয়েছে ৪৭ হাজার ৩০৮ জন। তবে গত নভেম্বরের পর দেশে আর কাউকে সরকারিভাবে করোনার টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে না। বিশ্বের অন্যনা দেশের তুলনায় টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিরাট সাফল্যে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেলের স্থান অর্জন করেছে বলে দাবি করছেন স্বাস্থ্য খাত সংশ্লিষ্টরা।
তারা বলেন, টিকাদান কার্যক্রম এবং কোভিড নিয়ন্ত্রণে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম স্থান এবং সারা বিশ্বে পঞ্চম স্থান অর্জন করেছে। দেশের স্বাস্থ্য খাতের সার্বিক চিত্র তুলে ধরে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী সময়ের আলোকে বলেন, গত এক বছরে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেশ কিছু অগ্রগতি হয়েছে। এর মধ্যে দুটি বিষয় রয়েছে। একটি হলো- জনস্বাস্থ্য, অন্যটি হাসপাতাল বা চিকিৎসাভিত্তিক অবকাঠামো। চিকিৎসাভিত্তিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা হলো- গ্রাম পর্যায়ে কমিনিউনিটি ক্লিনিক, জেলা-উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হয়েছে। এর বাইরেও মেডিকেল কলেজ স্থাপন হয়েছে। বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে করোনার টিকাদানে আমরা বেশ এগিয়ে রয়েছি। তা ছাড়াও মাতৃমৃত্যু, মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি এবং অধিকসংখ্যক মানুষকে স্বাস্থ্য সেবার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা একটি দেশের স্বাস্থ্যে উন্নয়নের জন্য তার জিডিপির ৫ শতাংশের ব্যয় বরাদ্দের সুপারিশ করে থাকে; কিন্তু আমাদের দেশে জিডিপির এক শতাংশের কমে এখনও রয়েছে। তা বাড়ানোর জন্য যে কাঠামো ও জনবল প্রয়োজন তা করতে পারি না। যা আমাদের অপূর্ণতা রয়ে গেছে। স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে আমরা অনেক বিষয়েই সাফল্য অজন করেছি। কিন্ত একটি টেকসই স্বাস্থ্যসেবা কাঠামো এবং দক্ষ জনবল গড়ে তোলার জন্য যে পূর্ণাঙ্গ যে রূপরেখা তা প্রণয়ন করতে পারিনি। আগামীদিনগুলোতে যেন আমরা তা করতে পারি সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, দেশের স্বাস্থ্য খাতে একেবারে যে কাজ হয়নি তা নয়, আমরা করোনার ধকল সামাল দিয়েছি এবং সবাইকে বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হয়েছে। দেশের ৮টি বিভাগে বিশেষায়িত হাসপাতাল করা হচ্ছে যা ভালো উদ্যোগ। তবে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের সাধারণ মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত ও অবহেলিত রয়েছে। তাদের দিকে বেশি নজর দেওয়া উচিত। এ জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন করাসহ ওষুধের দামও নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। দেশের স্বাস্থ্য খাতে সাফল্য ও ব্যর্থতার বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, এ বিষয়ে অফিসে এসে কথা বলতে হবে।