আলফাডাঙ্গায় মধুমতির করাল গ্রাসে একদিনে একই গ্রামের ১০টি পরিবার নদীগর্ভে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২১ পিএম, ১৬ আগস্ট,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:৪৫ এএম, ১৯ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের চরখোলাবাড়িয়া গ্রামটি এখন মধুমতির করাল গ্রাসে প্রায় ছিন্ন ভিন্ন হতে চলেছে।
আজ সোমবার মধুমতি ভয়াবহ রুপ ধারন করে একই দিনে কয়েক ঘন্টার মধ্যে ওই গ্রামের ১০টি পরিবারের ঘরবাড়ি গ্রাস করেছে।
অসহায় ভাঙ্গন কবলীত পরিবারের মধ্যে রয়েছে চর খোলাবাড়িয়ার আব্দুর রহমানের ছেলে আজাদ মিয়া (৪৫), শুকুর মোল্লার ছেলে তৈয়ব মোল্লা (২২), মৃত্যু ইব্রাহিম মোল্লার ছেলে আব্দুল হালিম মোল্লা (৬০), গোলাম মোস্তফা মোল্লার ছেলে নুরু মোল্লা (৫০) ও আব্দুল ওদুত মোল্লা (৭৫), আবু সাইদের ছেলে কামরুজ্জামান (৪৭), আব্দুর জাব্বার এর ছেলে আতিয়ার রহমান(৫৪), বীর মুক্তযোদ্ধা আবুল কাসেম(৬৫), আব্দুল হালিম মোল্লার ছেলে আবুবক্কার মোল্লা (৬০) ও আব্দুস সালাম মোল্লার ছেলে আব্দুল করিম মোল্লা (৩৭)। এদের অনেকে অন্যর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। আবার অনেকে খোলা আকাশের নিছে পলিথিনের কুঁড়ে ঘরে বসবারস করছেন।
এ ছাড়া খোলাবাড়িয়া গ্রামের লাল মোহম্মদ এর ছেলে রফিকুল মুছল্লি (৪০), আদেল উদ্দিনের ছেলে রিজাউল করিম(৩৮), আলম মোল্লা (৩৮) জয়েন উদ্দিন মোল্লার ছেলে আসাদ মোল্লা (৫৫), আজাহার মোল্লার ছেলে ফরিদ হোসেন ফুয়াদ (৫৭) এর বাড়ি নদীর পানি বাড়ার সাথে সাথে ভেঙ্গে যাওয়ায় এরা টিকরপাড়ার চরে আশ্রয় নিয়েছেন। এ ছাড়াও উপজেলার পাচুড়িয়া ইউনিয়নের বাঁশতলা বাজার এলাকা ও টগরবন্দের বাজড়া গ্রামটিও ভাঙ্গনের শিকার হয়েছে।
এদিকে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের দিগনগর স্থায়ী নদীরক্ষা বাঁধের শেষ মাথায় খেয়া ঘাটের স্থায়ী ঘাটলাটি সম্প্রতি নদী গর্ভে বিলীন হয়েগেছে। এর পূর্বে কয়েক'শ মিটার দূরে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের স্বপ্ননগর আবাসন প্রকল্প। এখানে রয়েছে আড়াইশ পরিবার। এ ভাবে ভাঙ্গন চলতে থাকলে স্বপ্ননগরে আশ্রয় নেওয়া পরিবার গুলিকেও আবার আশ্রয়হীণ হয়ে ভেঙ্গে যাবে স্বপ্ননগরের স্বপ্ন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তৌহিদ এলাহী দিনকালকে বলেন ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবার গুলিকে ত্রাণ পৌছে দেয়া হচ্ছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহদয়কে অবগতি করানো হয়েছে এবং পানিউন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের মধুখালী, বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গার অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-বিভাগিয় প্রকৌশলী সন্তষ কর্মকার বলেন এখন বর্ষা মৌসুম ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। স্বপ্ননগর আবাসন রক্ষার স্থায়ী বাঁধের আবেদন করা হয়েছে বরাদ্ধ পেলে আগামী শুকনো মৌসুমে স্থায়ী বাাঁধের কাজ করা হবে।
এ বিষয়ে বুড়াইচ ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন সংবাদ পেয়েছি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাবো।