এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীর বিরুদ্ধে মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৫ পিএম, ১৮ মে,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০২:৫৬ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
ইসলামী বক্তা ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (১৭ মে) রাতে শাহবাগ থানায় করা এ মামলায় ফেসবুক ভিত্তিক একটি ডিবেট টক শো’র সঞ্চালক সাইফুল সাগরকেও আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে শাহবাগ থানায় এ মামলাটি করেন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন।
ফেসবুকে প্রচারিত একটি ডিবেট শো-তে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ‘জঙ্গি’ বলে বক্তব্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের কটাক্ষ করায় এ মামলা করা হয়েছে।
শাহবাগ থানার ওসি মওদুত হাওলাদার মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি মওদুত হাওলাদার বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের কটাক্ষ করার অপরাধের একটি অভিযোগ থানায় এসেছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা নেয়ার জন্য। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে মতামতের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে মতামত আসার পর মামলা নিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।’
মামলার এজহারে বলা হয়েছে, মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সন্তানদের জঙ্গির সঙ্গে তুলনা করে ধৃষ্টতা দেখিয়ে এনায়েতুল্লাহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে স্পষ্ট প্রোপাগান্ডা ও প্রচারণা চালিয়েছেন। বীর মুক্তযোদ্ধাদের ও তাদের অবদানকে অপমান ও অপদস্ত করেছেন। যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ।
উল্লেখ্য, গত ১৪ মে ফেসবুকের একটি টকশোতে মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গণকমিশন প্রকাশিত ২ খণ্ডের শ্বেতপত্র নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল ‘১১৬ জন আলেম নিয়ে অভিযোগ বিশ্লেষণ’। টকশোতে হাজির ছিলেন এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী। তিনি ছাড়াও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিমকোর্টের বিশিষ্ট আইনজী অ্যাড. মিজানুল ইসলাম, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, বিশিষ্ট আইনজীবী ও সদস্য সচিব (গণ কমিশন) ব্যারিস্টার নিঝুম মজুমদার।
ওই টকশোতে এক পর্যায়ে ড. আব্বাসী জঙ্গি শব্দটির বিশ্লেষণ করে বলেন, ফার্সি ‘জাং’ থেকে এসেছে জঙ্গি শব্দটি যার অর্থ দাঁড়ায় যোদ্ধা। শাব্দিকভাবে মুক্তিযোদ্ধারাও এক অর্থে জঙ্গি বলে মন্তব্য করেন এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী।