পরিকল্পাহীন শিক্ষা
রফিক মৃধা, দিনকাল
প্রকাশ: ০২:৩২ এএম, ২৫ আগস্ট,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ১০:৪৯ পিএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
বাংলাদেশে সব কিছু খুলে গেলেও এখন পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। এ পর্যন্ত ১৮ বার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ঘোষণা দিলেও শেষ পর্যন্ত খোলা হয়নি। গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ১৮ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। ১৫ মাস ধরে এই বন্ধে এখন শিক্ষার্থীরা সীমিতভাবে অনলাইন ক্লাসে অংশ নিচ্ছেন। বার্ষিক সমাপনী পরীক্ষা হয়নি। সীমিত সিলেবাসে এসাইনমেন্টভিত্তিক মূল্যায়ন হয়েছে। আর এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা পেয়েছেন অটোপাস। তবে এবার অটোপাস না দিয়ে সীমিত সিলেবাসে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার চিন্তা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইনে ক্লাস নিলেও পরীক্ষা নিতে পারছে না। ভর্তি পরীক্ষাও নেয়া সম্ভব হয়নি।
করোনার কারণে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে দেড় বছর ধরে বন্ধ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বাতিল হয়েছে গত বছরের প্রাথমিক সমাপনী, জেএসসি, এইচএসি পরীক্ষা। চলতি বছরেও অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে সংশ্লিষ্টদের। এক বছর পিছিয়ে পড়েছে স্নাতক ভর্তিচ্ছুরা। সবমিলিয়ে এক হ য ব র ল অবস্থা বিরাজ করছে শিক্ষায়। অন্যদিকে দেখা গেছে গার্মেন্টস, সিনেমা হল, বিনোদন কেন্দ্র, শপিংমল সবই খোলা। কোথাও থেমে নেই কোলাহল। সবকিছুই স্বাভাবিক থাকলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
তারা বলছেন, এভাবে চলতে পারে না। সব খোলা রেখে শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত হতে পারে না। অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে কয়েকদফা আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে ঢাবি ক্যাম্পাসে ভিসির বাসভবনের অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। একই দাবিতে নীলক্ষেত মোড়েও মানববন্ধন করেছেন ঢাবি অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রয়োজনে জায়গা খালি রেখে ক্লাস করানো হোক। সবকিছুই যেখানে স্বাভাবিক, সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা একেবারেই ভুল সিদ্ধান্ত।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মানের সাথে কোনো আপোস করা যাবে না ৷ সেটা করা হলে এই করোনায় তারা যতটা পিছিয়ে পড়বে তা কাটিয়ে ওঠা অসম্ভব হয়ে পড়তে পারে৷ আর ইন্টারনেট ও ডিভাইস সবার হাতে না থাকায় অনলাইন শিক্ষায় সবাই অংশ নিতে পারছে না ৷ গ্রামের স্কুলের শিক্ষার্থী এবং কম আয়ের পরিবারের শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়ছে ৷ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়েও একই অবস্থা ৷
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুজিবর রহমান বলেন," আমরা ছোট ছোট পাইলট প্রকল্প করে দেখতে পারতাম স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল খোলা যায় কি না ৷
এদিকে গতকাল শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। শিগগিরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বৈশ্বিক সংকটের শুরু থেকে নির্দেশনা দিয়েছেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত না করে, স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়ে যেন কাজ করি। আমরা এখন পর্যন্ত সেটাই করছি। তারা যেন পড়াশোনায় পিছিয়ে না পড়ে, এজন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করেছি।
তিনি বলেন, আশা করি যেভাবে সংক্রমণের হার ক্রমেই নিচে নেমে আসছে- এটা আমাদের জন্য সুখবর। এ নি¤œগতি থাকলে শিগগিরই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারবো। ধাপে ধাপে খুলবো। কারণ আমাদের শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীর সংখ্যা পৃথিবীর যে কোনো দেশের তুলনায় বেশি। কারণ এ অসুখে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
দীপু মনি বলেন, সবাই শুরু থেকেই সপ্তাহে ছয়দিন হয়তো ক্লাস করার সুযোগ পাবে না। একটু সময় নিয়ে হবে সেটা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জন্য আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি আছে। শুধু অপেক্ষা সংক্রমণের হার আরেকটু নিচে নামার।
এর আগে তিনি বলেছেন, সেপ্টেম্বরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে, নভেম্বরে পরীক্ষা। তবে সব কিছুই নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর। কিন্তু এই কাজের রোডম্যাপ পরিষ্কার নয়। প্রশ্ন উঠেছে করোনা সংক্রমণ যদি না কমে তাহলে কি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এভাবে মাসের পর মাস বন্ধ থাকবে? শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি বলেছেন, এবার আর অটোপাস নয়, পরীক্ষা হবে। আর সেই পরীক্ষা হতে পারে নভেম্বরে। আর সেটেম্বরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হতে পারে। তার আগে শিক্ষক-কর্মচারী ও ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সি শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা দেয়া হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, "আমাদের পরিকল্পনা দুইটি বিষয়কে মাথায় রেখে করা হয়েছে। যদি করেনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায় তাহলে এক রকম। আর যদি করোনার মধ্যেই খুলতে হয় তাহলে আরেক রকম। তবে আমরা মনে করি সংক্রমণ পাঁচ ভাগের নিচে না নামলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা ঠিক হবে না।
তিনি জানান, নভেম্বরে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার আগে সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে। এটা ক্লাস নেয়ার জন্য নয়, ওই পরীক্ষার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে। সেটা সফল হলে বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকসহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে। আর এর আগে শিক্ষক কর্মচারী ও ছাত্রদের (১৮ বছর বা তোর বেশি বয়সের) শতভাগ টিকার ব্যবস্থা করা হবে। ‘করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে একরকম আর করোনার মধ্যেই খুলতে হলে আরেক রকম’ তবে তারা গত বৃহস্পতিবার আরেকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পরীক্ষার্থীদের বয়স ১৮ বছরের নিচেও যদি হয় তারপরও সবাইকে যদি টিকা দেয়া যায় তাহলে তাও দেয়া হবে।
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের মাধ্যমে শিক্ষক, কর্মচারী ও ছাত্রদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করছে। তবে এরই মধ্যে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় সব শিক্ষক এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই লাখ ৭৮ হাজার শিক্ষক, কর্মচারী টিকা নিয়েছেন বলে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন।
অধিদফতরের পরিচালক জানান,"করোনার মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে পরীক্ষা নেয়ার ব্যাপারে ইউনিসেফের গাইডলাইন মেনে আমরা পরিকল্পনা করেছি। খোলার ১৫ দিন আগে থেকেই তা বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে। স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব, শিক্ষার্থীরা কত দূরে বসবেন, মাস্ক সব কিছুই নির্ধারণ করা আছে। আর শিক্ষার্থীদের এসাইনমেন্ট ভিত্তিক কাজও শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু এই পরিকল্পনা বা রোডম্যাপ স্পষ্ট নয়। কারণ শিক্ষা মন্ত্রণালয় শুধু পরীক্ষার কথাই চিন্তা করছে। কিন্তু তারা যদি না শিখে তাহলে পরীক্ষা নিয়ে কী হবে?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন,"গত বছরের জুলাই-আগস্টের দিকে করোনা কমে গিয়েছিলো তখন কিন্তু পরীক্ষা নেয়া যেত স্বাস্থ্যবিধি মেনে। ক্লাস চালানো যেত পরিকল্পনা করে। ‘জুলাই-আগস্টের দিকে করোনা কমে গিয়েছিল তখন কিন্তু পরীক্ষা নেয়া যেতো’। এখন তো করোনা অনেক বেশি। তাই আমি এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পক্ষে নই। কিন্তু প্রশ্ন হলো করোনা থাকলে কি আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে না? অটোপাস দিয়ে দেব? গত বছর যাদের অটোপাস দেয়া হলো তারা কি যা প্রয়োজন তা শিখেছে। মৌলিক বিষয়গুলো না শিখিয়ে অটোপাস দিয়ে তো কোনো লাভ নেই।”
তিনি বলেন," শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ। আমরা শুধু পরীক্ষা নিয়ে কথা শুনেছি কিন্তু পড়াশুনার কী হবে তা নিয়ে কোনো উদ্বেগ বা পরিকল্পনা দেখিনি। না পড়িয়ে পরীক্ষা নিয়ে কী হবে? এই নিয়ে কোনো রোডম্যাপ বা টাইম লাইন আমদের নেই। তারা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছেন। কিন্তু এটা করতে যে দক্ষতা বা জ্ঞান দরকার তার ঘাটতি আছে বলে আমি মনে করি। তার মতে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে একাধিক শিফট করে, দূরত্ব বজায় রেখে ক্লাস পরীক্ষা সবই নেয়া যেত। দরকার ছিলো পরিকল্পনা। কিন্তু তা হয়নি। অনলাইন বা মডিউল ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য এখানে অবকাঠামো নেই। অর্ধেক শিক্ষার্থীর ডিভাইস নেই। আর সরাসরি ক্লাস তো পুরোপুরি বাদ দেয়া সম্ভব নয়। এটার আলাদা গুরুত্ব আছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিমা সুলতানা বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট, শপিংমল, দোকানপাট, গণপরিবহন চলতে পারলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও অবশ্যই চলতে পারবে। তাদের চেয়ে শিক্ষার্থীরা আরও বেশি সচেতন। সবকিছু খোলা রেখে শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কোনো মানেই হয় না। এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। আমরা অতি দ্রæত ক্যাম্পাসে ফিরতে চাই। কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের অনুরোধ, সেশনজট না বাড়িয়ে অবিলম্বে ক্লাসে ফেরার ব্যবস্থা করুন। হল-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দাও আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অনেক শিক্ষার্থীর টিউশনিও নেই। এটা খুবই কষ্টের।
ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী রোকাইয়া নওশীন বলেন, ‘সরকার গার্মেন্ট মালিক, বাস মালিকসহ অন্য ব্যবসায়ীদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু করোনাকালে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র শিক্ষার্থীদের কোনো সাহায্য-সহযোগিতা করেনি। ফলে অনেক শিক্ষার্থীই এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে। অনেকের পড়ালেখা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক আরিফ বিল্লাহ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার নোটিশ দেওয়া আর নতুন নতুন তারিখ ঘোষণা করা।’
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘অনেক জায়গা থেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে চাপ আছে। কিন্তু ছাত্রসমাজ বা অভিভাবকদের পক্ষ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কোনো চাপ নেই।
তিনি বলেন, ‘আমার কাছে প্রতিদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে বার্তা আসে, সেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবেন না, এমন বার্তাই বেশি আসে। নানা জায়গা থেকে শোনা যাচ্ছে আন্দোলন হচ্ছে। কিন্তু আন্দোলনের জন্য আমরা জনগণকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলতে পারি না। সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেই ক্যাম্পাস খোলা হবে। কোনো অবস্থাতেই আমরা জনগণের স্বাস্থ্য নিয়ে অবহেলা করব না।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে শিক্ষা সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দ্রæত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা বলেছেন। তবে সুনির্দিষ্ট তারিখ বলেননি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সব ধরনের প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। করোনা সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি যখনই অনুক‚লে আসবে, প্রথম সুযোগটুকু আমরা নেবো। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে কোন স্তরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘এগুলো এখনও চূড়ান্ত হয়নি। করোনার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। যখনই নিয়ন্ত্রণে আসবে, তখন সরকারের গঠিত কারিগরি কমিটিসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বসে চূড়ান্ত করব।