আরও ৭ দিন বাড়লো লকডাউন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১৭ এএম, ২০ এপ্রিল,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:৩৭ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
চলমান লকডাউনের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে।
আজ সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সচিবদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির পরামর্শ ছিল লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ালে বর্তমান চেইনটা ভেঙে দেওয়া সম্ভব হবে এবং সংক্রমণ নি¤œগামী হবে। সেটা বিবেচনায় নিয়ে ২২-২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনের সময় বাড়িয়ে সার সংক্ষেপ তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনি সই করার পরে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর ইঙ্গিত দেন। রবিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৩১তম সভা থেকে লকডাউন বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, বৈজ্ঞানিকভাবে দুই সপ্তাহের কম লকডাউনে কার্যকর ফলাফল আশা করা যায় না। দেশের অর্থনীতি সচল রাখার স্বার্থে শিল্প-কলকারখানা খোলা রাখার বিষয়টি কমিটি উপলব্ধি করে। তবে, বেসরকারি দফতর, ব্যাংক খোলা রাখা, ক্রমবর্ধমানভাবে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল, ইফতার বাজারে অনাকাঙ্খিত ও অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ত ভিড় লকডাউনের সাফল্যকে অনিশ্চিত করে। লকডাউনের সময় স্বাস্থ্যসেবা, ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে কমিটি। খোলা রাখা যাবে এমন জরুরি সেবার তালিকা প্রকাশ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে কমিটি। এছাড়া কাঁচা বাজার আবারও উন্মুক্তস্থানে বসানোর প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় কমিটি।
চলমান শর্ত প্রযোজ্য থাকবে পরবর্তী লকডাউনে:
চলমান শর্ত বলবৎ থাকবে ২২ তারিখ সকাল ৬টা থেকে থেকে শুরু হওয়া পরবর্তী লকডাউনে।
সোমবার তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার নিজ দফতরে সাংববাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেছেন। তিনি বলেন, চলমান শর্তে ২২ তারিখ ফের ৭ দিনের লকডাউন দেওয়া হয়েছে। ১৪ তারিখ থেকে শুরু হওয়া লকডাউনের মেয়াদ শেষ হবে ২১ তারিখ রাত ১২টায়। ২২ তারিখ ভোর ৬টা থেকে আবারও ৭ দিনের লকডাউন শুরু হবে। ঈদের আগে লকডাউন শিথিল করা হতে পারে কিনা– জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপাতত সাত দিন লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সেটি শেষ হোক এরপর কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সেটা পরের বিষয়।
রবিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৩১তম সভা থেকে লকডাউন বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, বৈজ্ঞানিকভাবে দুই সপ্তাহের কম লকডাউনে কার্যকর ফলাফল আশা করা যায় না। দেশের অর্থনীতি সচল রাখার স্বার্থে শিল্প-কলকারখানা খোলা রাখার বিষয়টি কমিটি উপলব্ধি করে। তবে, বেসরকারি দফতর, ব্যাংক খোলা রাখা, ক্রমবর্ধমানভাবে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল, ইফতার বাজারে অনাকাক্সিক্ষত ও অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ত ভিড় লকডাউনের সাফল্যকে অনিশ্চিত করে। লকডাউনের সময় স্বাস্থ্যসেবা, ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে কমিটি। খোলা রাখা যাবে এমন জরুরি সেবার তালিকা প্রকাশ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে কমিটি। এছাড়া কাঁচাবাজার আবারও উন্মুক্ত স্থানে বসানোর প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় কমিটি।
লকডাউন বাড়ানো হলো যে কারণে:
করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে লকডাউনের সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। লকডাউনের সময় বাড়ানোর বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির পরামর্শক্রমে লকডাউন আরও সাত দিন বাড়ানো হয়েছে। টেকনিক্যাল কমিটি বলছে, ভাইরাসের যে চেইনটি কাজ করছে, লকডাউন অব্যাহত রাখা গেলে সেটি এই মাসের শেষে বা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে পুরোপুরি ভেঙে দেওয়া সম্ভব হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই পরামর্শ বিবেচনায় রেখে আগামী ২২ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঊর্ধ্বগতিতে আছে। কিন্তু চলমান লকডাউনের কারণে আমরা ইতোমধ্যে সুফল পেতে শুরু করেছি। আমরা মনে করছি, এই ধারা অব্যাহত রাখা গেলে সংক্রমণের নি¤œগতি নিশ্চিত করা যাবে। এর আগে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর ইঙ্গিত দেন।