শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৪৭ এএম, ১৪ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪ | আপডেট: ০৫:৩৩ এএম, ২৬ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
আজ ১৪ ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। জাতির জীবনে বেদনাঘন এক দিন। ১৯৭১ সালের এদিনে হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের আগ মুহূর্তে বাছাই করে দেশের বরেণ্য সন্তানদের নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছিল।
তাদের মধ্যে ছিলেন শিক্ষক, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, শিল্পী, গবেষক, চিকিৎসক ও প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন পেশার মেধাবীরা। কাউকে বাসা থেকে, কাউকে কর্মস্থল থেকে চোখ বেঁধে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর তাদের ওপর চালানো হয় নিষ্ঠুর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ।
১৬ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণের পর তাদের নিকট আত্মীয়রা মিরপুর, রায়েরবাজার ইটখোলা ও রাজারবাগ বধ্যভ‚মিতে গিয়ে খুঁজে পান তাদের স্বজনদের হাত-পা-চোখ বাঁধা মৃতদেহ। এরপরই উন্মোচিত হয় বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা। বেদনা ও বিস্ময়ে স্তম্ভিত হয়ে পড়ে বিশ্ববিবেক।
তবে শুধু ১৪ ডিসেম্বর নয়, বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ড চলে সশস্ত্র স্বাধীনতা যুদ্ধের ন’মাস ধরেই। হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে যে গণহত্যা শুরু করে তার প্রথম শিকার হন বুদ্ধিজীবীরাই। ওই রাতে ঘাতকরা ঝাঁপিয়ে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর। তবে বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে ১৪ ডিসেম্বর। তাই জাতি ফি বছর বিজয় উৎসবের আগে এই দিনটিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে গভীর বেদনার সঙ্গে স্মরণ করে।
এ শোকের দিন স্মরণে প্রতি বছর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করে আসছে বাঙালি জাতি। এরইমধ্যে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ চত্বর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার পাশাপাশি রাঙিয়ে তোলা হয়েছে লাল রঙে।
১৪ ডিসেম্বর প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধান উপদেষ্টা পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন শহীদ বুদ্ধিজীবীদের। একে একে শ্রদ্ধা জানাবেন বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নানা শ্রেণীপেশার মানুষ।
মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দেশের শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও শিল্পীসহ বহু গুণীজনকে নির্মমভাবে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। বিজয়ের ৫০ বছরে দেশের বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র ও দুর্যোগ মোকাবিলা করে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ এমনটাই প্রত্যাশা সবার।