জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান
মানবাধিকার লঙ্ঘনের গোপন তথ্য চায় জাতিসংঘ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৪৫ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪ | আপডেট: ০৪:৪১ এএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার নিশ্চয়তা দিয়ে ১লা জুলাই থেকে ১৫ই আগস্ট সময়কালে বাংলাদেশে সংঘঠিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা এবং ক্ষমতার অপব্যবহার সম্পর্কিত প্রাথমিক তথ্য প্রদানে ব্যক্তি, গোষ্ঠী এবং সংস্থার প্রতি অনুরোধ করেছে জাতিসংঘ।
সোমবার সকালে ঢাকাস্থ জাতিসংঘ অফিসের এক বিবৃতিতে নির্ভয়ে তথ্য প্রদানের ওই আমন্ত্রণ জানানো হয়। বলা হয়, তারা এমন সব তথ্য চান, যা সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা কোথাও এখনো প্রকাশিত বা প্রচারিত হয়নি।
OHCHR-FFTB-Submissions@un.org - এই ই-মেইলে তথ্য জমা দিতে অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়, জাতিসংঘ টিম ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিবর্গ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, চিকিৎসক, পেশাজীবী এবং ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণের পরিকল্পনা করেছে।
বিবৃতি মতে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমন্ত্রণে জাতিসংঘ মানবাধিকার অফিস বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বিক্ষোভে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনা করছে।
ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং দল - সত্য উদ্ঘাটন; দায় - দায়িত্ব চিহ্নিতকরণ; মানবাধিকার লঙ্ঘনের মূল কারণ বিশ্লেষণ এবং অতীতের মানবাধিকার লঙ্ঘনসমূহ ও তাদের পুনরাবৃত্তি রোধে বাংলাদেশের জন্য সুনির্দিষ্ট সুপারিশ প্রদানে দায়িত্বপ্রাপ্ত।
ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং তদন্ত কোনো অপরাধ অনুসন্ধান বা আইনি তদন্ত নয়। এটি যেকোনো জাতীয় ফৌজদারি বিচার প্রক্রিয়া থেকে স্বাধীনভাবে পরিচালিত। এই তথ্য অনুসন্ধান প্রক্রিয়াটি কঠোরভাবে গোপনীয়।
তদন্ত চলাকালীন, তদন্ত দলের সদস্যরা কোনো গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেবেন না। তারা সকলকে তথ্য অনুসন্ধান প্রক্রিয়ার গোপনীয়তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে অনুরোধ করেছেন। ঘটনাস্থলে পরিচালিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও উপাত্ত বিশ্লেষণের পর, জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস তদন্তের প্রধান প্রধান ফলাফল, উপসংহার, সুপারিশসহ একটি বিস্তারিত মানবাধিকার প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।
এ বিষয়ে বাড়তি তথ্যের প্রয়োজনে OHCHR-media@un.org এই ই-মেইলে জেনেভাস্থ জাতিসংঘ মানবাধিকার অফিসের মুখপাত্রের সঙ্গে ই-মেইলে যোগাযোগের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।