ভারতই বাংলাদেশ হওয়ার চিন্তা করতে পারে - মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩১ এএম, ২৫ মার্চ,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০২:০৭ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বাংলাদেশ ভারতের না, ভারতই বাংলাদেশ হওয়ার চিন্তা করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, অনেকে বলে আওয়ামী লীগ মানে দেশ ভারতের, আরে আমরা ভারত হবো কি ভারত বাংলাদেশ হওয়ার চিন্তা করতে পারে। গড় আয়ুতে আমরা এগিয়ে, যেখানে আমাদের গড় আয়ু ৭৪ বছর সেখানে ভারতে ৬৫ বছর।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম মিলনায়তনে ‘প্রজন্ম ৭০ বাংলাদেশ’ আয়োজিত আলোচনা সভা এবং সাংগঠনিক পতাকা উন্মোচন অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ভারতের মাতৃমৃত্যু হার, শিশু মৃত্যুহার, সেনিটেশন, পানির ব্যবস্থাপনা সবকিছুতে আমরা এগিয়ে। পাকিস্তানের কথা কি বলবো পাকিস্তান তো আরো অনেক পেছনে। ভারত আমাদের সাহায্য করেছে আমরা তার সেজন্য সম্মান জানাই। কিন্তু আমরা তো তাদের থেকে এগিয়ে। আমাদের কথা বিশ্বাস না হলে আপনারা গুগলে সার্চ করতে পারেন।
তিনি বলেন, আমরা যে পঞ্চাশ বছর পালন করছি এর মধ্যে একটি ফাঁকি আছে। সাড়ে ২১ বছর হচ্ছে আমরা ক্ষমতায় ছিলাম। আর আমরা ছাড়া অন্যান্য দল ২৯ বছর ক্ষমতায় ছিল। আমাদের ২১ বছরে আমাদের কি কি উন্নয়ন হয়েছে আর তাদের কি হয়েছে। তাদের আসলে কোনো লক্ষ্যই ছিল না। সে সময়ে তারা দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র গঠন করতে চেয়েছে।
তিনি আরো বলেন, হিসেব-নিকেশ ছাড়া চললে তাদের তো উন্নয়নের সম্ভাবনা থাকে না। একটা সরকার আট বছরের প্ল্যান করে কিন্তু আমাদের সরকার শতবছরের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা না থাকলে তারা কি কাজ-ই বা করবে। এতদিন কি শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকবে? তিনি ফল শুধু নিজে খেতে চান না। দেশের উন্নয়ন করা তার লক্ষ্য।
আলোচনার টেবিলে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এক অসম যুদ্ধের মাধ্যমেই এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। ভারত আমাদের ১০০ বছর পুরোনো অস্ত্র থ্রি নট রাইফেল দিয়েছিলো। আর পাকিস্তানিদের কাছে ছিল অত্যাধুনিক অস্ত্র। তাদের সামনে সম্মুখ যুদ্ধে আমরা তিন মিনিটও টিকতে পারতাম না। আমাদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র ছিল দেশপ্রেম। সেই সময়ে যুবক থাকায় আমরা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পেরেছি। এখন এই বয়সে হয়তো যুদ্ধ করা সম্ভাবনা ছিল না। মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের মুক্ত করে দিয়ে গেছে। এখন এই মুক্তি আমাদের তরুণ প্রজন্মের ধরে রাখতে হবে। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম অভিযুক্ত মো. আলী নেওয়াজ, এটিএন বাংলার উপদেষ্টা মো. তাশিক আহমেদ ও বীর মুক্তিযুদ্ধা মো. শাহাবুদ্দিন প্রমুখ।