খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা করার অনুমতি দিতে ৭১ জন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের বিবৃতি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২৮ এএম, ২৪ নভেম্বর,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ১১:৪৩ পিএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
দেশের ৭১ জন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এক যুক্ত বিবৃতিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিনা শর্তে মানবিক কারণে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা করার অনুমতি দিতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।
তারা বিবৃতিতে উল্লেখ করেন, অত্যন্ত গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে লড়াই করছেন। ৭৬ বছর বয়সী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিজ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি এবং ফুসফুসের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। বাংলাদেশের চিকিৎসকরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নততর চিকিৎসার জন্য বিদেশের বিশেষায়িত হাসপাতালে স্থানাস্তর করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন। পরিবারের সদস্যরাও তাই মনে করছেন। সুতরাং বিষয়টি রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে না দেখার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ উল্লেখ করেন। তারা অতিশিগগির তাঁর জীবন রক্ষার জন্য বিদেশে সুচিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ প্রদানের জোর দাবি জানিয়েছেন। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ আশা প্রকাশ করছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সব কিছুর ঊর্ধ্বে গিয়ে মানবিক বিবেচনায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে গিয়ে সুচিকিৎসা করার অনুমতি দিবেন।
বিবৃতিদানকারীদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সম্মাননা স্বাধীনতা পদক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত গীতিকার, চলচ্চিত্রকার ও সংস্কৃতিজন গাজী মাজহারুল আনোয়ার, সংস্কৃতিজন চিত্রনায়ক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল, একুশে পদকপ্রাপ্ত গীতিকার মনিরুজ্জামান মনির, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা চিত্রনায়ক হেলাল খান, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী কনক চাঁপা, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত গীতিকার মুনশি ওয়াদুদ, ডা. এম এ আজিজ, ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী, জাকির হোসেন রোকন, সাবেক সিনেট সদস্য (ঢা.বি.) লিয়াকত আলী, সঙ্গীত পরিচালক ইথুন বাবু, কণ্ঠশিল্পী রিজিয়া পারভীন, চলচ্চিত্র পরিচালক হাফিজ উদ্দিন, চিত্রনায়িকা শাহরিয়া ইসলাম শায়লা, সঙ্গীত পরিচালক জাবেদ আহমেদ কিসলু, কণ্ঠশিল্পী হাসান চৌধুরী, গ্রুপ থিয়েটার কর্মী জাহেদুল আলম হিটো, সাংবাদিক শামসুদ্দিন দিদার, অভিনেতা চৌধুরী মাজহার আলী শিবা সানু, কণ্ঠশিল্পী জামাল উদ্দিন নাসির (নাসির), নৃত্যশিল্পী ফারহানা চৌধুরী বেবী, কণ্ঠশিল্পী আব্দুল মান্নান রানা, সাংবাদিক এস এম মনিরুল ইসলাম, চারুকলা শিল্পী রুস্তম আলী প্রামানিক, কবি ও অভিনেতা এবিএম সোহেল রশিদ, চলচ্চিত্র পরিচালক শেখ দিদারুল ইসলাম দিদার, চলচ্চিত্র পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, অভিনেত্রী রিনা খান, নাট্য পরিচালক দীন মোহাম্মদ মন্টু, অভিনেতা আমির, চিত্রনায়ক আবির, চারুকলা শিল্পী এফ এম আনিস, নাট্যকর্মী নাহিদ উল্লাহ চৌধুরী, কণ্ঠশিল্পী শাহিনুর আবেদীন, আলোকচিত্র শিল্পী বাবুল তালুকদার, বাচিক শিল্পী এনামুল হক জুয়েল, কণ্ঠশিল্পী আশরাফ হোসেন শাহিন, চলচ্চিত্র পরিচালক সাঈদুর রহমান সাঈদ, চিত্রগ্রাহক ও চলচ্চিত্র পরিচালক রেজা লতিফ, চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক সামছুল আলম, কাহিনীকার ও চলচ্চিত্র পরিচালক আবু সাঈদ খান, চলচ্চিত্র পরিচালক এ জে রানা, চিত্র সম্পাদক মইনুল হাসান খোকন, চলচ্চিত্র পরিচালক নাসির উদ্দিন মিলন, চলচ্চিত্র পরিচালক তারেকুল ইসলাম ভূঁইয়া (সায়মন তারেক), চলচ্চিত্র পরিচালক হোসাইন আনোয়ার, চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মহারাজ, চলচ্চিত্র পরিচালক সাজেদুর রহমান সাজু, চলচ্চিত্র পরিচালক হানিফ রেজা মিলন, চলচ্চিত্র পরিচালক কাজী আলমগীর, চলচ্চিত্র পরিচালক এ.কে এম ফিরোজ বাবু, চলচ্চিত্র পরিচালক জ্যাম্বস কাজল, নৃত্য পরিচালক সাইফুল ইসলাম, চিত্রগ্রাহক ইস্তফা রহমান, চলচ্চিত্র পরিচালক শফিক হাসান, অভিনেত্রী কেয়া চৌধুরী, গীতিকার নাজমা সাঈদ, সাংবাদিক মিজানুর রহমান, নাট্যকর্মী শফিকুল হাসান রতন, কণ্ঠশিল্পী সাবিনা আক্তার মুক্তা, কণ্ঠশিল্পী শীলা মল্লিক, চিত্রসম্পাদক একরামুল ইসলাম একরাম, চিত্রসম্পাদক সহিদুল ইসলাম সহিদ প্রমুখ।