ফিরোজ রশীদের দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২৬ এএম, ২৭ সেপ্টেম্বর,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:১৬ পিএম, ১১ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী ফিরোজ রশীদের বিরুদ্ধে সম্পত্তি দখলের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলা বাতিলের রায় প্রত্যাহার করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। ফিরোজ রশীদের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ রবিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। অন্যদিকে কাজী ফিরোজ রশিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এম কে রহমান। এর আগে ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক জুলফিকার আলী বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৯৫১ সালের ৩ নভেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ২ নম্বর রোডে অবস্থিত এক বিঘা আয়তনের সরকারি জমিসহ বাড়ি (প্লট নম্বর ১০, বাড়ি নম্বর ৬৫), যা তৎকালীন কানাডায় নিযুক্ত হাইকমিশনার মোহাম্মদ আলীর অনুকূলে বরাদ্দ দেয়া হয়। ১৯৫৩ থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৬৩ সালে জন্মস্থান বগুড়াতেই তিনি মারা যান। পরে ধানমন্ডির বাড়িটি মোহাম্মদ আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী বেগম আলিয়া মোহাম্মদ আলী, ছেলে সৈয়দ মাহমুদ আলী ও মেয়ে সৈয়দা মাহমুদা আলীর নামে হস্তান্তরের অনুমতিসহ ১৯৭০ সালের ৩০ মে নামজারি করা হয়। এর প্রেক্ষিতে ১৯৭০ সালের ২২ মে থেকে তাদেরকে জমি হস্তান্তরের অনুমতি দেয়া হয়। কিন্তু ১৯৭৯ সালের ১৬ আগস্ট কাজী ফিরোজ রশীদ রেজিস্ট্রিকৃত ডিড অব অ্যাগ্রিমেন্ট ফর সেল (নম্বর- ৩১১৫৪) দলিলে ভুয়া দাতা বেগম আলিয়া মোহাম্মদ আলী ও কাজী আরিফুর রহমানকে সাক্ষী সাজিয়ে ও কাগজপত্রে দেখিয়ে ওই সময়ের তৎকালীন জেলা রেজিস্ট্রার এম আহমেদের সহযোগিতায় ওই সম্পত্তি দখল করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। মামলার এজাহারে ঘটনার সময়কাল ধরা হয়েছে ১৯৭৯ সালের ৯ আগস্ট থেকে ওই একই সময়ের ১৬ আগস্ট পর্যন্ত। পরে ওই ঘটনায় ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক জুলফিকার আলী বাদী হয়ে কাজী ফিরোজ রশীদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান জানান, কাজী ফিরোজ রশীদ মামলাটি বাতিল চেয়ে ২০১৭ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে হাইকোর্ট মামলা বাতিল করে রায় দেন। এরপর দুদক মনে করে, এ মামলায় আরও কিছু আইনগত তথ্য ও যুক্তি তুলে ধরা প্রয়োজন। এ কারণে রায় ঘোষণা করা হলেও তাতে বিচারপতিগণ স্বাক্ষর না করায় আমরা রায়টি প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করি। শুনানি শেষে আদালত আমাদের আবেদন গ্রহণ করেছেন। এর ফলে ফিরোজ রশীদের ওই রিট আবেদনের ওপর পুনরায় শুনানি হবে। পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন জানান কাজী ফিরোজ রশীদ।